নরসিংদীতে প্রাই মিলছে বেওয়ারিশ লাশ
নরসিংদীতে প্রায় মিলছে বেওয়ারিশ লাশ। এর মধ্যে বেশির ভাগই ট্রেনে কাটা। ময়নাতদন্ত শেষে কবরস্থান কিংবা রেল লাইনের পাশে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয় নাম-ঠিকানাবিহীন এসব মরদেহ। দীর্ঘদিন পর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হলেও প্রিয়জনের শেষ চিহ্নটুকুও দেখার সুযোগ পান না স্বজনরা। ট্রেনে কাটাপড়া অজ্ঞাত পরিচয় লাশ দাফন করা হয় স্টেশনের পাশের একটি জায়গায়। মৃত্যুর সময় পরনের কাপড়ের টুকরো গাছে টানানো থাকে কবর শনাক্তের জন্য। তবে, এতে বোঝার উপায় থাকে না, কোনটা কার কবর। প্রতি মাসেই নরসিংদীতে মিলছে পরিচয়হীন মরদেহ। ময়নাতদন্ত শেষে স্টেশনের পাশে ও পৌর কবরস্থানে জায়গা হচ্ছে এসব মানুষের। অনেক সময় দাফন-কাফন ছাড়াই শুধু মাটিচাপা দেয়া হয় তাদের। রাখা হয়না কোন কবর শনাক্তের উপায়। পুলিশ বলছে, অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হলে পরিচয় নিশ্চিত করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ ও ডিএনই প্রোফাইলিং করে রাখেন তারা। ছবি তুলে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয় স্বজনদের সন্ধান পেতে। তবে বেশিরভাগ সময়ই খোঁজ মেলে না স্বজনদের। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, কোনো মরদেহ উদ্ধারের পর সেটির ময়নাতদন্ত করানো হয়। সেখান থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো যথাযথ মাধ্যমে, যথাযথ জায়গায় পাঠানো হয়। নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর বলেন, আমরা সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় নিয়েই কিন্তু তদন্ত কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্যই থাকে লাশটাকে শনাক্ত করা এবং এর পেছনের ঘটনাটাকে উদঘাটন করা। বেওয়ারিশ লাশের পরিচয় শনাক্তে চলমান পদ্ধতি আরও আধুনিক করা প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকরা। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামিম বলেন, বেওয়ারিশ লাশ শনাক্ত করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যদি অত্যাধুনিকভাবে পরখ করা হয় তাহলে তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যাবে। জিআরপি পুলিশ জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেল লাইনের পাশ থেকে ৩৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। এর মধ্যে পরিচয় মেলেনি ১০ জন পুরুষ ও ২ নারীর।