মধ্যপ্রাচ্যগামী বাংলাদেশিদের বিমান ভাড়ায় নাভিশ্বাস - অসাধু সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আকাশচুম্বী বিমান ভাড়া
DESK NEWS 4TV বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্তও। আইনজীবীরা বলছেন, বেনামে বিপুল পরিমাণ টিকিট কিনে সংকট সৃষ্টি করছে একটি পক্ষ। যদিও বাড়তি ভাড়া কমাতে এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে বলে দাবি সিভিল অ্যাভিয়েশনের। তবে দায় নিতে নারাজ অপারেটররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত আসন না থাকায় কমছে না দাম। আপনি সৌদি আরব যাবেন, নাকি দুবাই, ওমান কাতার? যেখানেই যেতে চান, আর যে এয়ারলাইন্সেরই টিকিট কাটতে চান, আপনাকে ধরে নিতে হবে ওয়ানওয়ে যাত্রায় আপনাকে গুনতে হবে লাখ টাকার ওপরে। এমনই নৈরাজ্য চলছে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য যাত্রার বিমান টিকিট নিয়ে। অথচ এসব গন্তব্যে যারা যাচ্ছেন তাদের প্রায় সবাই প্রবাসী শ্রমিক, দেশে আসা রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা। এবার এ সংকট সমাধানে ভুক্তভোগীরা দ্বারস্থ হয়েছেন উচ্চ আদালতের। যেখানে আসা অভিযোগ নিয়ে আইনজীবীরা বলছেন, অদৃশ্য এক সিন্ডিকেটের জালে বন্দি বিমান টিকিটের সিংহভাগ। সুপ্রিম কোটের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা আদালতের সামনে আনার চেষ্টা করব বিমান ভাড়ার নিয়ে যা হচ্ছে একটা সিন্ডিকেটিক, কোনো একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ তারা অগ্রিম টিকিট কিনে নিয়ে রাখছে অধিক সংখ্যক। দেখা যাচ্ছে বুকিং যে নামে দেওয়া হচ্ছে শুরুতে, শেষ পর্যন্ত তারা ট্রাভেল করছেন না। তবে, সিভিল অ্যাভিয়েশনের দাবি, ভাড়া কেন কমছে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে, করা হয়েছে সতর্কও। যদিও দায় নিতে নারাজ ফ্লাইট অপারেটররা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুল ইসলাম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আমরা আমাদের অসন্তুষ্টির বিষয়গুলো বলেছি। তারা কেন ভাড়া বাড়িয়েছে এটি বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। আর যদি তা না হয় আমরা একটা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারি বা অবস্থানে যেতে পারে বলে তাদের আমরা সতর্ক করেছি। এয়ারলাইন্সগুলোর দাবি, করোনার ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। এয়ারস্প্যান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ফ্লাইট অপারেটরদের ওপর দায় দেওয়ার সুযোগ নেই, কারণ অপারেটরা তো তারা কর্মশিয়াল ফ্লাইট অপারেটর করছে। তারা তো কোনো চ্যারিটি ফ্লাইট না। তিনি আরও বলেন, কোভিডকালীনে খালি এয়ারক্যাপ্ট চলে গেছে, বিমান তখন কিন্তু তাদের লস করতে হয়েছে, একটা সিটের জন্য যখন ৫ জনের চাহিদা থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাবে। এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের ৫টি রুটে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু মোট চাহিদার তুলনায় বিমানের আসন ক্যাপাসিটি খুবই কম হওয়ায় তার প্রভাব বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটে পড়ছে যৎসামান্যই।