আল্লাহ পাক আমার রিজিক ব্যবসায় রেখেছিল তাই ব্যবসা করছি:- জোবায়ের রহমান
ডেক্স নিউজ :---- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কার সিটির স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ রি-কন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার'স অ্যাসোসিয়েশন( বারভিডা) এর কালচারাল সেক্রেটারি জোবায়ের রহমান একজন সফল ব্যবসায়ী। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হয়তো আল্লাহ রিজিক রেখেছিল তাই ব্যবসা শুরু করা। বাংলাদেশ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপে পড়তে যাই। সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে পিএইচডি করার জন্য আমেরিকা যাবার কথা ছিল। হাতে বেশ কয়েক মাস সময় থাকতে বাংলাদেশে ঘুরতে আসি। ফ্যামিলি চাচ্ছিল না আর বিদেশে পড়াশোনা করতে যাই। তাই এক আত্মীয়র মাধ্যমে জাপান থেকে গাড়ি আমদানি শুরু করি। শুরুটা অল্প করে তার সাথে শেয়ারে করেছিলাম। এখান থেকে কিছু শিক্ষা নিয়ে, কিছু টাকা লোকশান করে আল্লাহর রহমতে সাহস করে একাই শোরুম প্লাস ইমপোর্ট শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে তারপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একা একা যাত্রা শুরু ২০১৫ সালে। কিন্তু ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসি ২০১৩ সালে। মূলত শেয়ারে আমদানি শুরু করি ২০১৪ সাল থেকে। এভাবে আস্তে আস্তে আমার গাড়ির ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। প্রশ্ন: কত টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন? উত্তর : সত্যি বলতে খুব একটা বেশি টাকা নিয়ে শুরু করতে পারেনি। ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রশ্ন: লেখাপড়া বিদেশে করলেন সেখানে ব্যবসা না করে, বাংলাদেশে এসে ব্যবসা শুরু করলেন এই ব্যবসার চিন্তা কখন এলো? উত্তর : কোন প্ল্যানিং ছিল না। আমি নিজেও বুঝতে পারিনি বা এই বিজনেসের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সত্যি বলতে কি ফ্যামিলিও চাইনি আর আমার নিজেরও ভালো লাগছিল না বিদেশে গিয়ে সেটেল হই। নিজের দেশে যে শান্তি এইটা হারাতে চাচ্ছিলাম না। বাবা মা ছাড়াও ফ্যামিলির অন্যান্য সবাই কে নিয়ে একসাথে নিজের দেশে থাকার আনন্দটা বা অনুভূতিটাই অন্যরকম। প্রশ্ন: গাড়ি আমদানি কারক ব্যবসায়ীদের জন্য আপনারা কি উদ্যোগ নিতে চান? উত্তর: যদিও আমি গাড়ির ব্যবসা সাথে প্রায় ১০ বছর ধরে জড়িত । তারপরেও সকল ব্যবসায়ী মিলে আমাকে এই সংগঠনের ঈমানী দায়িত্ব দিয়েছেন আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদের পাশে থেকে এবং আমাদের এই সংগঠনের সমস্ত টিম মেম্বারদেরকে নিয়ে আন্তরিকতার সাথে সবসময় তাদের পাশে থাকছি। আমাদের এই সংগঠন বারভিডার মাননীয় প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারি জেনারেল নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের ২৫ জনের টিম সর্বত্র একসাথে কাজ করছে এবং ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি কাস্টমস এবং বন্দরে সমস্যা খুব সুন্দরভাবে সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে আমাদের এই কমিটি। আগামী দিনে আমাদের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে করে সবাই স্বাচ্ছন্দের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। এবং যারা আমাদের মধ্যে পুরাতন ব্যবসায়ী অথবা যারা এখন আর পৃথিবীতে নেই তাদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট আমাদের আছে। কিছু চলমান এবং কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা নিরলস ভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বান্ধব একটা পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রশ্ন: এই অর্থ বছরের বাজেট কেমন হয়েছে? উত্তর : এবারের অর্থবছরের বাজেট নিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে এক কথায় সুন্দর একটা বাজেট উপহার দিয়েছেন। আমার মতে ব্যবসা বান্ধব একটি বাজেট হয়েছে। আশা করছি আমাদের ব্যবসায়ীরা আগামীদিনে সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে।