কলকারখানার বিষাক্ত পানি আর রাবার ড্যাম শ্রীপুরে কৃষকদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে Channel 4TV
টি.আই সানি,গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দুটি নদীর ওপর দুটি রাবার ড্যাম নির্মাণের ফলে দুই হাজার কৃষক পরিবারের ভাগ্য বদলে যাবে এমন আশায় প্রায় দশ বছর পূর্বে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট ও কাওরাইদ ইউনিয়নের সুনাব গ্রামে প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি রাবার ড্যাম ও দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গাজীপুর এলজিইডি এসব নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে। তখন রাবার ড্যামের পানি ব্যবহার করে ওইসব এলাকায় উৎপাদিত হয়েছিল অতিরিক্ত প্রায় ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য। কিন্তু দিন দিন নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় এবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই অতিরিক্ত বৃষ্টিতে তলিয়ে রাবার ড্যামের পানি আটকে প্রায় শত শত হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রাবার ড্রাম উচকে পানি গড়িয়ে গেলেও পানি কমাতে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দুটি ইউনিয়নের এরমধ্যে ভিটিপাড়া, বালিয়াপাড়া, কাশিজুলী, লাকচতল, ধেদুয়ার, সুনাব, ধামলই, হয়দেবপুর, জাহাঙ্গীরপুরসহ প্রায় বিশটি গ্রামের কৃষি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
ধামলই গ্রামের কৃষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার প্রায় কয়েক বিগা জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। রাবার ড্রাম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বার বার বলার পরেও পানি নিষ্কাষনের কোন উগ্যোগ নিচ্ছে না। এতে আমরা হতাশ।
লাকচতল গ্রামের কৃষক আতিক মিয়া জানান, প্রতি বছরেই এমন দূর্ভোগ তাদের পোহাতে হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা কৃষি অফিসে গিয়েও কোন আশার মুখ দেখতে পারেননি।
কাওরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল ও বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল হক বাদল সরকার বলেন, বিশেষ করে কলকারখানার বিষাক্ত পানি নদীতে দেওয়ায় পানি দূষিত হয়ে গেছে।ওই বিষাক্ত পানি ফসলি জমিতে গিয়ে হাজার হাজার কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা বিষটি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো ।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহিউল ইসলাম জানান, এবিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কোনো কৃষক অভিযোগ করেনি, তাছাড়া ওই বিষয়ে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম রেজা বলেন, সংশ্লীষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে।