প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন নরেন্দ্র মোদি
দু’দেশের বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রা দেয়ার প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে চার দিনের সফরে দিল্লী পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সফরে নতুন প্রত্যাশা পূরণের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরো অগ্রগতির আশা ভারতেরও। তবে এসব ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে বলে মনে করছে দু’দেশ।
দিল্লীর রাস্তার বাঁকে বাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমণ বার্তা, আর দু’দেশের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের নিদর্শন। দুপুর সাড়ে বারোটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে বিমান বাহিনীর পালাম বিমান ঘাটিতে।
সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এরপর মটর শোভাযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে। কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী সফরে এসে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার নজির নেই বললেই চলে, যা বিরল সন্মানেরও।
সফরে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধিসহ মন্ত্রীর সভার বেশ ক’জন মন্ত্রীর সঙ্গে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফরকে সামনে রেখে দিল্লীর প্রখ্যাত সড়ক পার্ক স্ট্রিটের নাম পরিবর্তন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেকে বজায় রেখে একসাথে পথ চলতে চায় দু’দেশ। আর সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে আসা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে চায় একসাথে।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিল্লীতে থাকা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের।