আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদে আলোচনা না হওয়া নিয়ে টিআইবি’র প্রশ্ন
যেকোন আন্তর্জাতিক চুক্তি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন এবং আলোচনার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর চলমান সফরে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
রোববার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিআইবি’র নির্বাহি পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান তার মতামত তুলে ধরেন।
‘পার্লামেন্টওয়াচ-দশম জাতীয় সংসদ: সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ অধিবেশন’ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন: আমাদের গবেষণার মেয়াদকালে ৫৯ টি আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে যেগুলো রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন এবং তার ওপর আলোচনা করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
‘বিষয়টিকে আমরা উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেছি। তাই শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, ভবিষ্যতে হওয়া যেকোন আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত।’
এ প্রসঙ্গে টিআইবি ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, আমিতো মনে করি– এসে নয়, যাওয়ার আগেই কী কী চুক্তি হবে, তাদের সঙ্গে কী কী কথাবার্তা হবে বা কী বৃত্তান্ত হবে (আলোচনা হওয়া উচিত)।
‘তবে হ্যাঁ কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেমন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক কিছু হয়তো বলা হয় না। কিন্তু সেটাও জনগণের জানার অধিকার রয়েছে বা সেটা জনগনকে জানানোর একটা ভিন্ন পন্থা থাকে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন: কিন্তু যেগুলো জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জড়িত নয়, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত সেগুলোতো সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত বা জনগণকে জানানো উচিত বলেই আমরা মনে করি।
সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সংসদের সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ অধিবেশন নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক– উভয় দিক তুলে ধরার পাশাপাশি কিছু সুপারিশও করা হয়।