অস্ত্র রাখাটা অপরাধ, লাঠি রাখা অপরাধ নয় : এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী
এম. রফিকুল ইসলাম (চট্টগ্রাম) Channel 4TV : অপরাধ করিনি, জেনে শুনে চ্যালেঞ্জ করলাম। চট্টগ্রাম আঃলীগ সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী এবার লাটি হাতে‘অপশক্তিকে রুখতে হুংকারৃ! লালদিঘীতে গরম কথা বলার পরে এবার লাটি হাতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী । চট্টগ্রাম নগরীর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ৫ হাজার লাঠি বানিয়ে রেখেছি। অস্ত্র রাখাটা অপরাধ, লাঠি রাখা অপরাধ নয়। তাই লাঠি রেখেছি। অন্যায়কারী যেই হোক না কেন, তার প্রতি আঘাত করার জন্য।’
আমাদের কর্মীদের মনে সাহস আসার জন্য লাঠির ব্যবস্থা করেছি। একেকটা লাঠির ওজন ১৫০ গ্রাম।’ এসময় নিজের পাশে রাখা লাঠি হাতে তুলে নেন মহিউদ্দিন চৌধুরী; বলেন, ‘এখানে একটা আছে। আরো আছে ছোট-বড়।ৃ মারামারি করার সময় শক্তি এসে যাবে।’লাঠিগুলো কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন ফের বলেন, ‘অপশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জনগণ এই লাঠি হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবে। লাঠি হাতে থাকলে মনের সাহসটা বাড়বে। অন্যায়কারীরা দুর্বল হয়ে যাবে।’
চসিক মেয়র নাছির উদ্দীনকে ঈঙ্গিত করে নগর আঃ লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘১৭ বছর মেয়র থাকা অবস্থায় আমি যদি কোন অন্যায় করে থাকি, তাহলে (নাছির) বলতে হবে কি অন্যায় করেছি। কখনো জুলুম করিনি, কারো জায়গা দখল করিনি। আমি চেষ্টা করেছি টেক্স ছাড়া বাইরে থেকে টাকা এনে টুইন সিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে উন্নতি করতে। এখানে আমার অপরাধটা কোথায়? কোন অপরাধ করিনি, চ্যালেঞ্জ করলাম।’
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন,‘অন্যায় আমি করি বা আপনি করেন, যেই করেন, তা সামনে আনার দরকার আছে। সংশোধন হওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নয়, তাকে আমি মেয়র হিসেবে বলেছি। খারাপ আচরণ করা ঠিক নয়। উঠতি একজন মেয়রের উক্তি সুন্দর হওয়া চাই। আলাপ-আলোচনা-কথাবার্তায় গাম্ভীর্য না থাকা ঠিক নয়। যে খারাপ উক্তি করেছেন, তার জন্য আমি দুঃখিত নই।’
‘প্রশ্ন করুন, সত্য বিষয় আমি উদঘাটন করবই। জনগনের ডিমান্ড নিয়ে আমার কথা বলার দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বলে মনে করি। লালদীঘি মাঠে সভা ডেকেছি অধিকার নিয়ে, কারো বিরুদ্ধে বলার জন্য সভা ডাকিনি। অন্যায় যে করবে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। বললে সংশোধন হবে।এখানে হয়তো বা কেউ মনঃক্ষুন্ন হতে পারে। মনঃক্ষুন্ন হওয়ার কিছু নেই, আপনি অন্যায় করলে, আপনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, সংশোধন করা, কথা বলার অধিকার আমি রাখি। তাছাড়া আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।’
তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে এটা গ্রুপিং নয়, দ্বিধা-দ্বন্ধও নয়। আমার সাধারণ সম্পাদক যদি অন্যায় করে থাকে, আমার দায়িত্ব তাকে সংশোধন করা। তাই দ্রুত সংশোধন হয়ে মেয়রের দায়িত্বপালন করুণ । দিন দিনএই দুই শীর্ষ নেতার আচার-আচরণে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ খুবই হতাম প্রকাশ করেছে। সরকার দলীয় নেতাদের এই কি হাল । তবে যাই হোক দলের জন্য যে এই দৃশ্য প্রকৃত অর্থেই সুখকর নহে তা কিন্তু কেন্দ্রিয়/উচ্চ পর্যায়ের নেতারা ইতিমধ্যেই জেনে ছেন।