প্রধান শিক্ষিকা হয়েও ১৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না রুনা লায়লা
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম। উপজেলার উত্তর পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না। মামলা করে রায় পেয়েছেন নিজের পক্ষে। তারপরও তার নাম গেজেটভূক্ত হয়নি। এখনো পাচ্ছেন না কোনো বেতন। সরকারি চাকরি সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে নিষ্ঠার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন পাঠদান। বেতন না পেয়ে চরম আর্থিক দুর্দশায় চলছে তার জীবন। এর উপর আবার স্কুলের খরচের বেশিরভাগই বহন করতে হয় তার নিজের টাকায়। বরগুনা সদর উপজেলার উত্তর পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি থেকে বের হন বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে। চলে প্রতিদিনের নিয়মিত কার্যক্রম। ২০০৪ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বচ্ছো নাম্বার পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার নিয়োগে খুশি হতে পারেনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। তাই ম্যানেজিং কমিটি গোপনে কাগজপত্রে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য দেখিয়ে অন্য একজন শিক্ষক নিয়ে নেয়। পরে রুনা লায়লা মামলা করে নিজের পক্ষে রায় পান। পরে ম্যানেজিং কমিটি আপিল করলে ২০১৪ সালে আপিলের রায়ও নিজের পক্ষে পান রুনা লায়লা। কিন্তু তারপরও বেতন ও গেজেটভূক্ত হতে পারেননি তিনি।
উত্তর পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৭২ সালে। ২০১৩ সালে সরকারি হিসেবে ঘোষিত হয় এ স্কুলটি। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ২৬৪ জন। এদিকে স্ত্রী রুনা লায়লার জন্য দীর্ঘদিন মামলার খরচ বহন করে করে প্রায় সাত লাখ টাকা দেনা হয়েছেন ফিরোজ খন্দকার। তাই বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন ফিরোজ খন্দকার।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মজিদ বরগুনা বার্তাকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না থাকায় বেতনভূক্ত হননি রুনা লায়লা। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এলে বেতনভূক্ত করা হবে তাকে। এখন সবকিছু মন্ত্রণালয়ের হাতে।