মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কোলাপাড়া খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া বাজার সংলগ্ম ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাকের ডগায় স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি দস্যু হাজী অদুত, হাজী মাবুদ ও হাজী হারুন-অর-রশিদ এর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে খাল দখল করে বালু ভরাটকরে স্থাপনা নির্মানের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই খাল দিয়ে বিস্তৃর্ন ফসলি জমির পানি বের হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, কবুতর খোলা, হাতার পাড়া, রাঢ়ীখাল সহ আশপাশের নিচু ভূমির পানি কোলাপাড়া বাজারের বৃহত্তম এ খাল দিয়ে নেমে যায়।বর্ষা মৌসুমে কালভাট গুলোর নিচদিয়ে নৌকা ও ট্রলারে পন্যদ্রব্য পরিবহন সহ বিশাল নিচু ভূমির পানি নিস্কাশনে খালটিঅত্যন্ত গুরুতে¦র সাথে এতদিন ব্যবহিত হয়ে আসছিল। এছারা নদী-নালা থেকে এ খালের পানির সাথে পুকুর ও ডাঙ্গায় প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কৃষি কাজের এখালের পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্ষা মৌসুমে যেমন ভাসিয়ে নেয় বিস্তৃর্ন এলাকা তেমনি শুকনো মৌসুমেও সেচের ব্যবস্থা হয় এ খালের পানি থেকে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা-যায়, প্রায় ৯ শত একর জমিতে জলাব্ধতার সৃস্টি হয়েছে। জলাবব্ধতায় অনেক স্থানে পানির গভিরতা প্রায় ৩ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত রয়েছে। অথচ বিগত কয়েত মাসধরে কোলাপাড়া বাজার জামানিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার দক্ষিন পাশের্^ প্রভাবশালী হাজী মাবুদ তার নিজ বাড়িতে বালু ভারাটের নাম করে অত্যন্ত কৌশলে কালভাটের গা ঘেষে অবৈধ ভাবে ১০/১২ ফুটপ্রস্থের খালটি ভরাট করে দখল নিতে চলেছে। ফলে কালভাটের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। বালু ভারাটের কারনে খালটি এতই সরু হয়ে গেছে। ইচ্ছে করলে যে কেউ খালটি লাফ দিয়ে পার হতে পারে। অথচ এলাকার জনগনের সুবিধার্থে তার বাড়ি থেকে মাত্র ১০ থেকে ১৫ গজ পূর্ব দিকে সরকারী ভাবে নির্মিত হচ্ছে নতুন একটি কালভাট। এছারা কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে কালভাটটেরমুখে খাল দখল নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী হাজী অদুত ও হাজী হারুন-অর-রশিদ বালু ভরাট করলেও রহস্য জনক কারনে স্থানীয় কতৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন বলে এলাকাবাসির অভিযোগ।বিগত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালে বালু ভরাট করে স্থাপনা নিমার্নের পায়তার করলেও দেখার কেউ নেই। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কালভাট গুলো যদি এলাকার সাধারন মানুষের কাজেই না আসতো। তবে সরকারী ভাবে ছোট-বড় এত গুলো কালভার্ট নির্মিত হতোনা। সরকার এলাকার সব খাল ভরাট করে ফেলতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন এলাকাবাসী জানায়, শুস্ক মৌসুমে পানির সংকট প্রকট ভাবে দেখা দেয়। সেচ কাজে কৃষকেরা সময় মত পানি পাচ্ছেনা। সেচের অভাবে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পরছে।বিকল্প ব্যবস্থায় কৃষকেরা আবাদী জমিতে পানি দেওয়ার চেস্টা করছে। এভাবে খাল দখল করে বালুভারাট করে স্থাপনা নির্মানের ব্যপারে হাজী মাবুদ, হাজী অদুত ও হাজী হারুন-অর-রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তারা প্রত্যেকে বলেন, তারা তাদের ক্রয় করা সম্পত্তিতে বালু ভরাট করছেন। জানাগেছে, প্রতিনিধিরা খালে বালুভরাটের বিভিন্ন ছবি ক্যামেরায় বন্ধি করার পর হতে। দখল দারেরাঅধিক শ্রমিক নিয়োগ করে বেপরোয়া ভাবে ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।এব্যপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নেছার উল্লাহ সুজন এরকাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,যারা খাল ভরাট করেছেন আমি তাদের চিনি না, এমন ঘটনা আমি শুনি নাই।উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ফায়েজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চইলে তিনি বলেল,অল্প কয়েক দিন ধরে আমি এখানে চাকুরিতে যোগদান করেছি। তাই ,খাল দখল করে বালু ভরাট বিষয়ে আমার জানা-নেই। অতিসত্তর খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাটকৃত বালু অপসারন করে জলাবদ্ধতা দুরিকরন সহ পন্যদ্রব্য পরিবহন ও নিচু ভূমির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিস্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সরেজমিনে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী.