নবীগঞ্জে সিন্ডিকেটের দখলে চালের বাজার
ছনি চৌধুরী,(হবিগঞ্জ) নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
কৃষকদেও সপ্ন তলিয়ে গেছে পানির নিচে টানা বৃষ্টি কালবৈশাখির ঝড়, অকাল বন্যা, অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের বোরো ফসল । কৃষকদের ফসলহানির এই দুর্যোগে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়িয়ে দিয়েছে চালের দাম। নবীগঞ্জ উপজেলার মধ্য ও নি¤œ আয়ের মানুষের চালের দাম নিয়ে নাভিস্বাস উঠেছে। কিন্তু নাম করা অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা চালের দাম দিন দিন বাড়াতে চলেছেন। বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে- নবীগঞ্জে পাইকারি বাজারে প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম পঞ্চাশ কেজির বস্তা প্রতি বেড়েছে ৩শ থেকে ৪শত টাকা। এবং খুচরা বাজারে চালের দাম আরো বেশি দেখা গেছে। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১২থেকে১৫ টাকা পর্যন্ত । হঠাৎ চালের দাম ব্যবসায়ীরা সিন্টিকেটের মাধ্যমে মুল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নি¤œ আয়ের মানুষ। চালের মুল্য বৃদ্ধি নিয়ে উপজেলা ও জেলা মনিটরিং সেলের কার্যক্রম গতিশীল করার দাবি করেছেন এ উপজেলার সাধারণ ক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন। অসাধু চাউল ব্যবসায়ীদের মনগড়া বক্তব্য হচ্ছে -তারা পূর্বেৃর চেয়ে এখন দাম বাড়িয়ে চাউল ক্রয় করতে হচ্ছে, তাই তারা বস্তা প্রতি চালের দাম বৃদ্ধি করেছেন । অপরদিকে ক্রেতারা জানান, যে চাউল তারা প্রতিনিয়ত ক্রয় করেন ঐ চাউল সিলেটে এক দর ,মৌলভী বাজারে এক দর, হবিগঞ্জে এক দর হয় কিভাবে ? তারা আরো জানান বস্তা প্রতি দশ /বিশ টাকা বাড়ানো কোন সমস্যা নয়,কারণ দূর থেকে গাড়ি যোগে চাউল আনতে ভাড়া প্রয়োজন। কিন্তু বস্তা প্রতি ৩/৪ শত টাকা বাড়ানো এক মাত্র মনগড়া। এদিকে পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারের অবস্থা আরো ভয়াবহ। ইচ্ছেমতো দামে চাউল বিক্রি করছেন বিভিন্ন দোকানিরা। ক্রেতারা দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির নানা অজুহাত তোলে। নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা বাজার,দেবপাড়া বাজার.জনতার বাজার,কায়ন্থগ্রাম বাজার, রইছগঞ্জ বাজার, গোপলার বাজার, বাংলা বাজার , কৈলাশগঞ্জ বাজার, বান্দের বাজার, ইনাতগঞ্জ বাজার, আউশকান্দি বাজার, কামারগাও বাজার, সৈয়দপুর বাজার, নবীগঞ্জ বাজার, কাজিগঞ্জ বাজার , টুকের বাজারসহ অন্যান্য বাজারে পাইকারি দামে বস্তা প্রতি ৩/৪ শত টাকা, এবং কেজি প্রতি ১২/১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে । এসব বাজারে উপজেলা ও জেলা মনিটরিং সেলের মাধ্যমে তদারকি করার দাবি জানান সাধারণ লোকজন ।