এবারও শেষ চৈত্রের খর-নিঃশ্বাসে, আর ভৈরব রাগে রাজরুপা চৌধুরীর সরোদ বাদনে নতুন বছর এলো বৈশাখী সূর্যে। রমনার বটবৃক্ষের ছায়াতলে, ছায়ানটের এই সুরেলা বৈশাখ তাই যেনো সবকিছু ছাপিয়ে সৌহার্দ আর সম্প্রীতির অপূর্ব মেলবন্ধন।
নতুন এই দিনে এরপরই পুরোনো মুহূর্তের স্মৃতিচারণে সমবেত সুর- 'আলোকের এই ঝরনাধারায় ধুইয়ে দাও'। পঞ্চাশে পা রাখা, ষাটের দশকের ছায়ানটের প্রথম বর্ষবরন শুরু হয় যে গানে।
এছাড়াও, কণ্ঠ জুড়ে ছিলো একি অপরুপ রুপে মা তোমার, হেরিনু পল্লী জননী, যে সুর মাঝপথেই থেমে গিয়েছিলো ২০০১ সালের বিস্ফোরনে।
এভাবেই সুরের মায়াজালে, আয়োজনের বয়সটাও বাড়ে সূর্য্য সময়ের সাথেই। বিশ্বকবি আর বিদ্রোহী কবির একক ও সম্মেলক গানে সূর্য্যটা যখন রঙ ছড়াচ্ছিলো পালাগানে সেই বর্ণচ্ছটা তখন আরো দীর্ঘ। এভাবেই পুরোটা আয়োজনই ছিলো আলো আর প্রত্যাশার গল্পে।
এদিন বৈশাখ ছিলো কখনো শিশুর নরম হাতে, কখনো যুবকের বজ্রমুষ্ঠিতে। বৈশাখ ছিলো তরুনীর রঙিন সাঁজে ছিলো বয়সী অভিজ্ঞতায় আর প্রজন্মের স্বপ্নালু চোখে।
সুরের মূর্চ্ছনায় পহেলা বৈশাখকে বরণ
শুরু হলো আরেকটি নতুন বছর। স্বাগত বাংলা ১৪২৪। পাঁচ দশকের ধারাবাহিকতায় সুরের মূর্চ্ছনায় এবারও পয়লা বৈশাখকে বরণ করে নিলো, ছায়ানট। যে সুরে ছিলো সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দ্রোহের আগুন, আলোকিত পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।