সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ
সব অমঙ্গল আর সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। ঢাক ঢোল আর ডুগডুগির আওয়াজ। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস-উল্লাসে পহেলা বৈশাখের উৎসবে মেতে উঠে পুরো দেশ। অগ্রগতি এবং মানুষে মানুষে সাম্যের কথা বলে এমন বাংলাদেশের স্বপ্নই বুনে দেয়া হয়েছে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
জনশ্রোত আনন্দ আর প্রাণের উচ্ছাস পুরো শাহবাগ জুড়ে। যেনো একখন্ড বাংলাদেশের হৃদয়। সব চোখ মানুষের মুখ আর মনন নতুন করে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে পেছনে ফেলে আসতে চায় জীর্ণতা আর সংকীর্ণতাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ধর্মের দোহায় দিয়ে শেকলে বেঁধে ফেলার ষড়যন্ত্র ছিলো। তবু মানুষের প্রাণের উন্মাদনায় কমতি নেই হয়নি একটুকু। এ যে নতুন করে জীবন ও প্রতিটি দিনের মঙ্গল কামনা এলো।
আনন্দলোকে মঙ্গল আলোকে বিরাজ সত্য সুন্দর প্রতিপাদ্য নিয়ে চারুকলার ২৯ তম মঙ্গল শোভাযাত্রাটি এবারি প্রথমবারের মত পেয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি। শোভাযাত্রাকে তাই এবার সাজানো হয়েছে অনেকটা পুরোনো ঢং এ ফিরিয়ে আনা হয়েছে শুরু দিনের মোটিভ গুলো।
হাতি ঘোড়া আর বিশাল বাঘের মুখের পাশাপাশি সমুদ্র বিজয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীর শিল্প কাঠামো গুলো ছিলো বাঙ্গালী সংস্কৃতির চিরন্তন জাগরণের প্রতীক হয়ে।
শোভাযাত্রার বড় একটি অংশ জুড়ে ছিলো হাস্যজল মুখ্য শ্রী আর অন্য প্রান্তে সূর্যের বিপরীতে অন্ধকার কদাকার মুখ। মানুষের অন্তর নিহীত এই দু'রূপের পাশাপাশি ছিলো সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।
এই উৎসব বাঙালীর হৃদকে জাগ্রত করার চেতনায় উজ্জীবিত। যেখানে বার বার উচ্চারিত হয় সহিংসতা মুক্ত নতুন এক বাংলাদেশের।