গাংনীতে অ্যানথ্রাক্স রোগে অক্রান্ত অর্ধশতাধিক
এম এ লিংকন,মেহেরপুর Channel 4TV : মেহেরপুরের গাংনীতে রুগ্ন পশুর মাংশ খেয়ে আবারও অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েক মাসে অন্তত অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গাংনীতে যত্রতত্র রুগ্নপশু জবাই হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করায় অ্যানথ্রাক্স রোগাক্রান্ত হচ্ছে ভুক্তভুগীরা।। গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। আক্রান্তরা হলেন,হাড়াভাঙ্গা গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে মাহাতাব আলী (৪০), আরিফুল ইসলামের স্ত্রী ফুর্তি খাতুন (২৫),আব্দুস সালামের স্ত্রী আরজিয়া খাতুন (৫০), জাহিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ ( ১৭),আশরাফুল ইসলামের ছেলে আতিক হোসেন (১০),মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী পানসু (৩৫),আকবর আলীর ছেলে আল আমীন (১০), নওয়াপাড়া গ্রমের আবু হকের স্ত্রী নুরুনাহার (৩৮),মোমিনপুরের আব্দুল গনীর স্ত্রী মিনারা খাতুন (৩৫),ধানখোলা মাঠপাড়ার মোকাদ্দেস হোসেনের স্ত্রী নারজিনা (৫৫), সাহাবুদ্দীনের স্ত্রী রিভা খাতুন (২২),ইজাজানের ছেলে আনারুল ইসলাম(৪৫), সাহেবনগর গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন (২২),বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিরুদ্দীনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০),কাজিপুর হাজী পাড়ার বাবলুর স্ত্রী জিন্নাতুন নেছা (৩৬),পলাশীপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রিক্তা খাতুন (৩০),কল্যানপুর গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে রিপন হোসেন ( ২১),মালসাদহ ভিটা পাড়ার নেকবার আলীর ছেলে রাসেল (১৭),চৌগাছা ভিটা পাড়ার আলাউদ্দীনের স্ত্রী মাঞ্জুয়ারা খাতুন ( ৪০),খাসমহল গ্রামের এখলাস উদ্দীনের স্ত্রী মিত্তা জান্নাত (২০) প্রমুখ। কল্যানপুর গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে রিপন জানান,গরুর মাংশ খাওয়ার পর অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়। প্রথমে গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে কয়েকটা ওষধ দিলেও রোগ নিরাময় হয়নী। গত বুধবার দুপুরে আবারো হাসপাতালে ওষধ নিতে আসলে আর দেয়া হয়নী। বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিরুদ্দীন মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান জানান, অ্যানথ্রাক্স রোগ হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নেয়া হয়েছিল। বর্তমানে এ রোগ তার শরীরে প্রকট আকার ধারন করেছে এজন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করা হয়েছে। আক্রান্তরা জানান,রুগ্ন পশুর মাংশ খেয়ে তাদের অ্যানথ্রাক্স রোগ হয়েছে। গাংনী বাজার,বামুন্দী,কাজিপুর,তেঁতুলবাড়িয়া সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই যত্রতত্র ভাবে রুগ্ন গরু ছাগল জবেহ করা হচ্ছে। এসব রুগ্ন পশুর মাংশ খেয়ে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান,ইতো মধ্যে বেশ কিছু অ্যানথ্রাক্স রোগী কে সেবা দেয়া হয়েছে। অ্যানথ্রাক্স রোগ হলে আতঙ্কতি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানান,রুগ্ন পশু জবেহ ও মাংশ খাওয়া বন্ধ করা হলে অ্যানথ্রাক্স রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এ ব্যপারে গাংনী উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে জানান তার সহকর্মীরা। গত ৫ বছর যাবৎ অ্যানথ্রাক্্র রোগ হলেও স্থায়ী ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নী। একারনে প্রতি বছর অ্যানথ্রাক্স রোগাক্রান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ।