সিটিং সার্ভিস নাকি লোকাল বাস, কী চান যাত্রীরা
সিটিং সার্ভিস আর লোকাল বাসের মধ্যে আপনি কোনটি চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজধানীর গণপরিবহনের যাত্রীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। সিটিং সার্ভিস বন্ধের পর গণপরিবহনের অভাবে জনদুর্ভোগে ভোগা যাত্রীদের কেউ বলছেন, সিটিং সার্ভিসই ভালো ছিলো। ভাড়া বেশি হলেও আরামে নিজ গন্তব্যে যাওয়া যেত। আবার অনেকে বলছেন, লোকাল হওয়াতে সাধারণ যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের উপকার হয়েছে। জনদুর্ভোগের এ বিষয়ে বুধবার রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটের যাত্রীরা চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব কথা বলেছেন। চ্যানেল আই অনলাইন জানতে চেষ্টা করেছে লোকাল সার্ভিসের কারণে রাজধানীবাসী কী ধরনের দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন? শিক্ষার্থী শামীমা অাক্তার জানান, সিটিং সার্ভিস না থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটিং ভাড়া রাখছে। বাসে লোক নিচ্ছে অনেক বেশি কিন্তু ভাড়া অাগেরটাই আছে। ভাড়া কম রাখতে বলা হলেও তারা কম রাখছেন না। কয়েকজন যাত্রী বলছেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধের পর অল্প দুরত্বের ভাড়া কমলেও বেশি দুরত্বের ভাড়া অাগের চেয়েও বেড়ে গেছে। এছাড়া সিটিং সার্ভিসে ভাড়া বেশি থাকলেও শৃঙ্খলা মেনে যাতায়ত করা যেত বলেও বলছেন অনেকে। আর এখন লোকাল বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে বলে জানান তারা। একই সুর শোনা গেল লাব্বাইক পরিবহনের হেলপার মান্নানের কণ্ঠে। মান্নান বলেন, সিটিং সার্ভিসই ভালো। প্রত্যেকদিন যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে শুনতে আর ভালো লাগে না। কেউ বলে টাকা হারিয়ে গেছে, কেউ বলে মোবাইল নেই। এখন সাত টাকার জায়গায় অাগে দশ টাকা দিলেও শান্তিতে যেতে পারত যাত্রীরা।অন্যদিকে এসব বিষয় বিবেচনা করে দিকে জনস্বার্থ বিবেচনা করে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস ব্যবস্থা আবারও ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার বিকেলে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ভাড়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৬ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি তদারকি করতে বিআরটিএ-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। ফলে রাস্তায় কৃত্রিমভাবে গণপরিবহনের সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে গাড়ি সংকটের কারণে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।