সোনাগাজীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নবীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নবীর বিরুদ্ধে
ঘুষ ও বদলী বাণিজ্যের মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি সুবিধাবাদী চক্র। ওই চক্রের একটি বেনামা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০সালের ১৫ অক্টোবর সোনাগাজীতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন নুর নবী। সর্বশেষ শিক্ষা কর্মকর্তা মেরাজ উদ্দিন বদলী হলে দুই বছর যাবত ওই পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা, অতিরিক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সহ ১২ টি পদে মাত্র ২জন কর্মকর্তা শিক্ষা অফিসের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন । সরকারের এ গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে কর্মকান্ড অব্যহত রাখতে নিয়মিত হিমশিম খাচ্ছেন নুর নবী। ২৬ জানুয়ারী বেনামে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নবীর বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমান ছাড়া সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনামের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঠুনকো অভিযোগের কাগজপত্র পর্যালোচনা ছাড়াই গত ৫ ফেব্রুয়ারী অভিযোগপত্রটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট প্রেরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সোনাগাজীর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নবীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তদন্ত করতে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: রকিব উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত রবিবার তিনি সরেজমিনে সোনাগাজীতে এসে তদন্ত করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নবীকে উপস্থিত শিক্ষকদের মুখোমুখি অভিযোগের ৭টি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযোগ খন্ডন করেন ।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নবী জানান, বেনামা অভিযোগ কিভাবে কতৃপক্ষ আমলে নিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে উপজেলায় শিক্ষকদের দু গ্রুপের দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ ও দলাদলির কারনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। আমি সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এ দপ্তরে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কর্মকান্ড পরিচালনায় সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
সোনাগাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির সেলিম জানান, শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তার যথেষ্ট সংকট রয়েছে। তারপরও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের উচিত তাঁকে সহযোগীতা করা। একটি বেনামা অভিযোগ করে একজন কর্মকর্তাকে নাজেহাল করা কোনভাবেই সমর্থন করিনা।
বেনামা অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জেড এম কামারুল আনামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: রকিব উদ্দিন বলেন, নুর নবীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলোর তদন্ত শেষ হয়েছে। শিক্ষকদের দেয়া বক্তব্য পর্যালোচনা করে যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।