গ্যাস সংকটে দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ
গ্যাস সংকটে বন্ধ রয়েছে দেশের ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৮টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। সংকট মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, এলএনজি আমদানীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে নতুন করে ১০৮ টি কুপ খননের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মাত্র কয়েকবছর আগেই দেশের ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল গ্যাস নির্ভর। সংকট বাড়তে থাকায় গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে এসেছে ৬৪ শতাংশে। ঘোড়াশাল, চট্টগ্রাম, শিকলবাহা, আশুগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, হরিপুর, টঙ্গিসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৭ টি ইউনিট গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসেবে, ১৩ শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেলে দেশের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রেখে উৎপাদন হতো ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন উৎপাদন সীমিত থাকছে সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে।
গ্যাস অনুসন্ধানে দেশের স্থলভাগে ১০৮ টি কুপ খননের কাজ শুরু করলেও সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে হতাশ মন্ত্রণালয়। দাইউ’র সঙ্গে একটি ব্লকে চুক্তি হলেও অন্যগুলিতে গতি নেই।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী বছরের মধ্যে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি এলে সংকট কিছুটা কমবে। তবে, নিশ্চিত করেই বলা যায় আগামী বছরের মার্চে আসছে ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি।