মংলা সমুদ্রবন্দরে কনটেইনার জাহাজের সংকট
কনটেইনার জাহাজ সংকট দেখা দিয়েছে সমুদ্র বন্দর মংলায়। এর ফলে খুলনা অঞ্চলের পাট ও চিংড়িসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিকারকরা দ্বারস্থ হচ্ছেন চট্টগ্রাম বন্দরের। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হচ্ছে সময়ক্ষেপণ। মংলা বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, নাব্য সংকট ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে বন্দরের জেটিতে। যে কারণে কনটেইনারবাহী বেশীর ভাগ জাহাজ যায় চট্টগ্রাম বন্দরে।
মংলা বন্দরে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে কনটেইনারবাহী বিদেশী জাহাজ এসেছিল ৭২টি। এরপর থেকে তা কমতে শুরু করেছে। ২০১৪-১৫ তে ৬৭টি এবং ২০১৫-১৬ তে আসে ৪৬টি জাহাজ। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৮মাসে এসেছে মাত্র ২৪টি। বিদেশী জাহাজে আসা কনটেইনারগুলো খালি করার পর সেগুলোতে রপ্তানি পণ্য পাঠায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মংলায় কনটেইনার জাহাজ সংকটের কারণে এ অঞ্চলের রপ্তানিকারকরা ছুটছেন চট্টগ্রাম বন্দরে। এজন্য নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।
কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক সৈয়দ আলী বলেন, 'জাহাজ নাই কন্টেইনারও নাই। আমরা চাই পর্যাপ্ত জাহাজ আসুক।'
খুলনাঞ্চল থেকে সবচে’ বেশি রপ্তানি হয় হিমায়িত খাদ্য। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাঠানোর ফলে খরচ গণতে হয় কয়েকগুণ বেশি বলে অভিযোগ রপ্তানিকারকদের।
চিংড়ি রপ্তানিকারক মোঃ রেজাউল হক বলেন, 'চট্টগ্রাম দিয়ে একটা কন্টেইনার পাঠাতে হলে আমাদের দেড় লক্ষ টাকা বেশি খরচ হয়।'
হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির পরিচালক এস হুমায়ুন কবীর বলেন, ড্রেজিং এর মাধ্যমে মংলা বন্দরে আর নাব্যতা সৃষ্টি করা। এছাড়া প্রতি মাসে তিন থেকে চারটা কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
সমস্যার কথা স্বীকার করে বন্দর চেয়ারম্যান এই সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন।
মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, 'আগামী দুই বছরে মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। কন্টেইনার ইয়ার্ড হবে। কন্টেইনার ডেলিভারীর ব্যবস্থা করা হবে। যাবতীর সব বিষয় এতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে।'
২০১৩-১৪ অর্থ বছরে মংলা বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ২৯ হাজার ১শ ৪১টি, আর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২৫ হাজার ৫শ ৯৭টি।