২০১৪সালে উপজেলার প্রথম স্থান অর্জনকারী মিঠাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ইউনিয়নে রয়েছে ২য় স্থানে!
ছনি চৌধুরী,(হবিগঞ্জ) নবীগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV :
নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০১৪সালে উপজেলার প্রথম স্থান অর্জনকারী মিঠাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ইউনিয়নের রয়েছে ২য় স্থানে! গত দুই বছরে প্রায় ৮০% সাফল্যের হার কমে যাওয়ায় শংকিত রয়েছেন অভিভাবকগণ। উক্ত বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৬জন শিক্ষিকা এর মধ্যে ৫জনই হিন্দু ও ১জন মুসলিম শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু ঐ বিদ্যালয়ে কোন পুরুষ শিক্ষক নেই! শুধু মাত্র মহিলা শিক্ষিকা! শিক্ষাখ্যাতে ২০১৪সালে উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জনকারী ঐতিহ্যবাহী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে লেখা পড়ার গুণগত মান নিন্ম মানের হওয়াতে স্থানীয় বেসরকারী কিন্ডার গার্ডেন,কে.জি স্কুল গুলোতে সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ভর্তি করছেন।
এ দিকে উক্ত বিদ্যালয়ে ক্লাসরোম সংকটের কারণে এল.জি.ই.ডি নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ এর নির্মানাধীন কাম-বন্যাশ্রয় কেন্দ্রেও চলছে অপরিকল্পীত পাঠদান। তবে উক্ত বন্যাশ্রয় কেন্দ্রের নির্মান কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি হওয়াতে ডালাই থেকে বালু উটে শিক্ষার্থীদের নাখে-মূখে ডুকে শিক্ষার্থীদের জ্বর, স্বর্দি সহ বিভিন্ন রোগ সৃস্টি হচ্ছে! এতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দুটাই ঝুকিঁর মূখে।
অপর দিকে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ক কোন শিক্ষক, শিক্ষিকা না থাকায় কোমলমতি মুসলিম শিক্ষার্থীরা ধর্ম শিক্ষা থেকেও রয়েছেন বঞ্চিত, অভিযোগ অভিভাবকদের। তবে সিনিয়র এক শিক্ষিকা একাই ইসলাম শিক্ষা সহ অন্যান্য পাঠদান করে যাচ্ছেন! তবে প্রশ্ন থেকেই যায় উনার দ্বারা একা কী সম্ভব ৫টি ক্লাসে ধর্ম শিক্ষা পাঠদান করা!
এ নিয়ে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে দুঃচিন্তা রয়েছেন। এ নিয়ে সরকার ও প্রাথমিক অধিদপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা জোগাতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের হল রোমে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট মুরুব্বি হাজী আব্দুর রুপ এর সভাপতিত্বে উদ্দীয়মান তরুন শিক্ষানুরী সৈয়দ সামছুল ইসলাম কর্তৃক কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী যুবলীগ নেতা হাজী আব্দুল হামিদ নিকছন, প্রধান শিক্ষিকা অনিমা রায়, চ্যানেল এস/দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার প্রতিনিধি বুলবুল আহমদ, এনটিভির নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মহিবুর রহমান চৌধুরী তছুন, সমাজ সেবক নাজমূল হক চৌধুরী পলাশ, শাহ আশরাফ আলী, সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগম, অচিত্রা চক্রবর্তী, সুমা কর্মকার, স্বপ্না মালাকার, গায়েতি পাল, শাহ আবু নাছের প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৪ইংরেজী সনে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এ+ প্রাপ্ত গ্রেডে বৃত্তি পায় ১১জন। তারা হলো মাথিন মোঃ শাহরিয়া, খালেদ আহমদ আকাশ, জান্নাতুল নাইম হৃদয়, জান্নাতুল ফেরদাউস কলি, লামিসা চৌধুরী লুবনা, প্রিয়াংকা দেব, রাহমা ইসলাম হৃদি, রোহেনা তাসনিম, মাহবুবা ইসলাম তমা, মুর্শেদা আব্দুল মুন্নী, তানজিনা আক্তার।
২০১৫ইংরেজী সনে এ+ পায় ৬জন। তারা হলো নাজমুন নাহার নিজবা, সাদিয়া আক্তার সায়মা, আরিফা আক্তার তামান্না, মারিয়া তাহসিন তোফা, নওরীন সুলতানা, রাহুল ধর।
২০১৬ইংরেজী সনে ৩জন এ+ পায়। তারা হলো রায়হান আহমদ জিলাদ, কমল আহমদ ফাহিম, জাফরুল ইসলাম মাহেদ।