দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সকল বিভাগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে-সচিব ফয়জুর রহমান
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV :
সাংবাদিকদের সকল পরামর্শই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার বাস্তবায়ন করবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ জেলাবাসীকে আশ্বস্থ করতে চাই যে,তাদের সকল প্রয়োজনে সরকার সবসময় পাশে আছে এবং থাকবে। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়,খাদ্য মন্ত্রণালয়,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়,কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সকল বিভাগ ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করবে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সাথে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঐ সংবাদ সম্মেলন ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এসব কথা বলেন,দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ ফয়জুর রহমান। সভায় লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন,সম্প্রতি পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যায় সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারকে সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে ১০০০মেঃটন জিআর চাল এবং ৪৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নিকট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থদের ভিজিএফ কর্মসুচির আওতায় পরিবার প্রতি ৩০কেজি হারে ২৩এপ্রিল হতে জেলার ১১টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় মোট দেড় লক্ষ কার্ডের মাধ্যমে বন্যাক্রান্ত,অন্যান্য দুর্যোগাক্রান্ত,দু:স্থ,অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে বিতরনের জন্য মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উপ-বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে ১৫৫ বান্ডিল ঢেউটিন ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বিতরনের পর ৭০ মে:টন জিআর চাল,৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ ও ৩০ বান্ডিল ডেউটিন মজুদ রয়েছে। সর্বশেষ ৩০কেজি হারে আগামী ৩ মাস ৮দিনের জন্য দেড় লক্ষ কার্ডের মাধ্যমে ভিজিএফ সাহায্য হিসেবে ১৪হাজার ৭শত মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাবে সুনামগঞ্জে ৭ হাজার মে:টন চাল মজুদ রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,দৈনিক সুনামকন্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়,দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আল-হেলাল,যুগান্তর প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান পীর,দৈনিক সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকার সম্পাদক সেলিম আহমেদ,বাংলাভিশন টিভির জেলা প্রতিনিধি মাছুম হেলালসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় সাংবাদিকেরা বলেন,যে জনপ্রতিনিধিরা পিআইসির সভাপতি সেজে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক লুটতরাজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারী বরাদ্ধের টাকা আত্মসাৎ করেছেন আর তাদেরকে নিয়ে নয় বরং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সক্রিয় অংশ গ্রহনে পূণর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হউক। এছাড়া হাওরের সুনামগঞ্জের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে সরকারের সকল বরাদ্ধ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হউক। যেহেতু শতকরা ৯০ ভাগ কৃষকই ফসল হারিয়েছেন সেহেতু জেলার ৩ লাখ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারকে পূণর্বাসনের আওতায় আনতে হবে। ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস এর চাল ও ১০ টাকা কেজি মূল্যের খাদ্য বান্দব এর চাল বিক্রয় কর্মসুচিকে জনগনের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে ওয়ার্ড ভিত্তিক ডিলার নিয়োগের পরামর্শ দেন সাংবাদিকরা। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সফিউল আলম,এনডিসি মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান,জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মোহাম্মদ আমিনুল এহসান খানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।