জার্মানিতে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল প্রদর্শনী: ভূমিকা রাখবে পোশাক রপ্তানিতে
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিতব্য টেকনিক্যাল টেক্সটাইল প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানভিত্তিক সবচেয়ে বড় মেলার আয়োজক সংস্থা মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের এশিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) ওমর সালাহ উদ্দীন।
চার দিনব্যাপী ওই প্রদর্শনী আগামী ৯ মে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। এ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসেন ওমর সালাহ উদ্দীন। ওই সময় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের সিইও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এ খাতের উদ্যোক্তারা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ ভাল করছেন। আমি মনে করি জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য টেকনিক্যাল টেক্সটাইল প্রদর্শনী বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মেলায় অংশ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হন। কারন এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নতুন নতুন পণ্যের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়। প্রদর্শক এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে নানা রকমের জয়েন্ট ভেঞ্চারের উদ্যোগ নেয়া সহজ হয়।
প্রদর্শনীতে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল পণ্য যেমন, প্রতিরক্ষামূলক ফ্যাব্রিক, গার্মেন্টস, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, মেডিকেল গজ, তাঁবু, স্মার্ট টেক্সটাইল, ফুটবল অথবা অন্য খেলার জার্সি ইত্যাদি প্রদর্শন করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তারা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিবেন।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে যেসব কোম্পানি অংশ নিবে তাদের নেতৃত্ব দিবে তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ। এর দায়িত্বে থাকবেন সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এবারে প্রদর্শক হিসেবে বি. জে. জিওটেক্সটাইল থাকবে বলে জানা গেছে।
এই শো এর সাথে মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের নিয়মিত আয়োজনে আরও থাকছে গার্মেন্টস মেশিনারিজের অন্যতম প্রধান প্রদর্শনী টেক্সপ্রসেস। বিভিন্ন মেশিনারি প্রস্তুতকারী দেশ যেমন জার্মানি, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এই টেক্সপ্রসেসে নিয়মিত অংশ নেয়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফেডারেশন বা আইএএফ-এই টেক্সপ্রসেসের অন্যতম সমর্থক।
এই দুইটি প্রদর্শনীতে সারাবিশ্বের প্রায় ৮৫ টির অধিক দেশ থেকে অন্তত দেড় হাজার প্রদর্শক অংশ নেয়। এতে ৪২ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।