‘অপারেশন ঈগল হান্ট’: ৩ জন নিহত, এক নারী ও এক শিশু উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ অভিযানে ৩ জন নিহত। ওই আস্তানা থেকে থেকে এক নারী ও এক শিশুকে বের করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার বেলা ৫টার দিকে হলুদ শাড়ি পরা এক নারীকে এবং এর প্রায় বিশ মিনিট পর শিশুটিকে বের করে আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তবে তারা জীবিত না মৃত সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
আহত ওই নারীর কাছ থেকে জানা গেছে যে, ওই বাড়িটির ভিতরে ‘আবু’ অবস্থান করছে। তার কাছে বিস্ফোরক রয়েছ। এটি আইইডি হতে পারে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াটের উপকমিশনার ডিসি প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার। এই অভিযানে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল থেকে মাইকে কয়েক দফা বলার পরও আত্মসমর্পণ না করায় বেলা সোয়া ৪টার দিকে ভেতরে থাকা দুই শিশুকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তাছাড়া সকালে শেষবারের মতো তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে একটি বোমা ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয় সন্দেহভাজন ওই জঙ্গি আস্তানায়।
বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে আমবাগান ঘেরা ওই বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করার পর সন্ধ্যায় অভিযান চালায় সোয়াট। কিন্তু দুই ঘণ্টা পরই স্থগিত করে।
রাতের বিরতির পর সকাল ৯টার দিকে ফের অভিযান শুরুর পর সোয়া ১২টায় আত্মসমর্পণের শেষ আহ্বান জানানো হয়। এর আগে অভিযান শুরুর সময় থেকে এক-আধ ঘণ্টা পরপর শোনা যাচ্ছে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। ১০টা ৬ মিনিটে একবার বিকট বিস্ফোরণ ঘটে।
অপারেশন ঈগল হান্ট’ নামে পরিচালিত এই অভিযান শুরুর আগেই সকাল ৮টার দিক থেকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস। নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশ ওই বাড়ির আশপাশের প্রায় পাঁচ শ গজের ভেতর কাউকে যেতে দিচ্ছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চককীর্তি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় স্থগিত হওয়া ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ সকাল নয়টায় অভিযান শুরু হয়। অভিযানে সোয়াট, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের একটি দলসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।