বিষয়টি তদন্তে গঠিত কমিটি এসব তথ্য জানিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষু্ন্ন হয়েছে উল্লেখ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিরও সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। গত ১৮ এপ্রিল রাতে সাদা পোষাকে রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহিমপুরের নিউ ওয়েভ ক্লাবে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
এসি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে দলে ছিলেন গোয়েন্দা পুর্ব শাখার অস্ত্র উদ্ধার দলের ১১ সদস্য। জুয়া খোলার অভিযোগে সেখান থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চারজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় কাফরুলে মিলিটারি চেকপোস্টে আটককৃতদের চিৎকারে গাড়িতে থাকা গোয়েন্দা সদস্যদের আটক করা হয়। নেয়া হয় পুলিশ হেফাজতে।
এ ঘটনায় তদন্তে অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা জামিল আহমেদ, যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও উপকমিশনার মিরপুর মাসুদ আহম্মেদকে দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ৬ কার্যদিবস পর বুধবার ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদাবাজির জন্যই নিউ ওয়েব ক্লাবে যায় এসি রুহুল আমিন। এর আগেও একই দল গত ১৬ মার্চসহ কয়েক দফায় ১৭ লাখ টাকা নিয়ে আসে ঐ ক্লাব থেকে। ক্লাবে আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে ছেড়েও দেন কয়েকজনকে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, গোয়েন্দা পূর্ব শাখার সিনিয়র কর্মকর্তাদের না জানিয়েই কর্ম এলাকার বাইরে গিয়ে একাজ করেছে রুহুল আমিনের টিম। জড়িতদের বিরুদ্ধে ৩ ধরণের শাস্তির সুপারিশও করেছে কমিটি। যার মধ্যে রুহুল আমিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও মামলা, ডিএমপি থেকে বদলি ও ডিবি থেকে বদলি। তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ কাজে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কেউ কোন অভিযানে গেলে নিকটস্থ থানা ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের অবশ্যই জানিয়ে যেতে হবে।