দায়িত্ব নেয়ার একশ দিনে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি বিতর্কের জন্ম দেন, ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। যা আটকে দেয়, আদালত। শেষমেষ নির্বাহী আদেশ সংশোধনও করতে বাধ্য হন, ট্রাম্প। এছাড়া ওবামাকেয়ার বাতিল প্রস্তাবেও সমর্থন দেয়নি, মার্কিন কংগ্রেস।
২৮ নির্বাহী আদেশ জারির মধ্য দিয়ে, রুজভেল্ট থেকে শুরু কোরে সাবেক ১২ প্রেসিডেন্টকেও ছাড়িয়ে গেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই-নয়, প্রশাসনের ৫৫৬ কর্মকর্তার মধ্যে ৪৭০ জনের নিয়োগে, এখনও সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। সমালোচকরা বলতে শুরু কোরেছেন, আমুদে প্রেসিডেন্টকে নাকী ১৯ দিন-ই তাকে দেখা গেছে, গলফের মাঠে।
অথচ, তার পূর্বসুরী ওবামা, একশ দিনেই ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার, কুখ্যাত গুয়ানতানামে বে কারগার বন্ধের সিদ্ধান্তও নেন। বলা হয়, প্রথম একশদিনেই প্রতিশ্রুতির ৬৫ ভাগই পূরণ করেছিলেন, ওবামা। আর ট্রাম্প ৩৮ প্রতিশ্রুতির মাত্র ১০ টি রক্ষা করেছেন। সে তুলনায়, ট্রাম্পের ব্যর্থতার পাল্লা-কেই সামনে আনছেন, বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলেইন কামারক বলেন, 'কথায় কথায় ট্রাম্প নিজেকে, দক্ষ সমন্বয়কারী প্রমানের চেষ্টা করলেও, আদতে তিনি পুরো উল্টো জাতের মানুষ। যেকোনো ইস্যুতে হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে তার উদ্যোগগুলো সফলতার বদলে ব্যর্থ হচ্ছে।'
সিরিয়া ও আফগানিস্তানে হামলা, আর উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে দু'দলের পাল্টা হুমকিতে, ট্রাম্প-কে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে, বিশ্বজুড়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলবে তার সরকারকেই।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম হাওয়েল বলেন, 'বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও, বেশিরভাগই রক্ষা করতে পারেননি ট্রাম্প। এটি তাঁর জন্য বড় ব্যর্থতা। আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে তাকে।'
জনমত জরিপ বলছে, ৬৫ বছরের ইতিহাসে, ক্ষমতা গ্রহনের পর সবচেয়ে অজনপ্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের তকমা এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
দায়িত্ব নেয়ার একশো দিনে ৪০ ভাগ প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছেন ট্রাম্প
সাড়ে তিন মাসেও নিজ প্রশাসনের প্রায় ৫শ কর্মকর্তা নিয়োগে, সিনেটের অনুমোদন পাননি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এই একশো দিনে নির্বাহী আদেশ জারিতে, সাবেক ১২ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। এই সময়ে প্রতিশ্রুতির মাত্র ৪০ ভাগ পূরণ করতে পেরেছেন তিনি। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, নানা আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় এসে কথা না রাখার কারণে, ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে ট্রাম্পকে ।