সাধারণত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফার ওপর যে কর দিয়ে থাকে, তা করপোরেট কর নামে পরিচিত। ধরণ অনুযায়ী দেশে সেই হার ২৫ থেকে সাড়ে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত। আর এটি কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। যার পেছনে যুক্তি হলো, এমনিতেই ব্যবসায় পরিচালনা খরচ বেশি। তারওপর চড়া করহার, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তাই, লম্বা সময়ের এই দাবির প্রতি এবার কিছুটা নরম হলেন অর্থমন্ত্রী। ইঙ্গিত দিলেন, আসছে বাজেটে এই হার বিবেচনা করার।
বাজেটের আগে নিয়মে পরিণত হওয়া পরামর্শক সভায়, ব্যবসায়ীরা নানা দাবি তুলে ধরেন এদিন। বিশেষ করে, বিভিন্ন খাতে থাকা সম্পূরক শুল্ক, আয়কর আর থোক বরাদ্দ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত চান অর্থমন্ত্রীর। একই সাথে, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো এবং মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেন অনেকে। অর্থমন্ত্রী জানান, আসছে বাজেট থেকেই করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারিত অঙ্কে চূড়ান্ত করতে চায় সরকার। নতুন বাজেটকে বিলাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, করজাল বাড়ানোর ক্ষেত্রে নেয়া হচ্ছে কার্যকর উদ্যোগ।
আসছে বাজেটে তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানোর ঘোষণাও দেন অর্থমন্ত্রী।
আসছে বাজেটে করপোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী
আসছে বাজেটে করপোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এফবিসিসিআই ও এনবিআর আয়োজিত পরামর্শক সভায় তিনি বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা আগামী বাজেট থেকেই স্থির করে দেয়া হবে। এছাড়া, জুলাই থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আভাস দেন তিনি। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রস্তাবনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট প্রস্তাবের আগেই বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।