ফ্রান্সে লি পেনের সমাবেশে বাংলাদেশের তৈরি ‘টি-শার্ট’
ফ্রান্সে তৈরী পণ্যকে গুরুত্ব দেয়া হবে এমন প্রচারণা করে আসা সত্ত্বেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ম্যারি লি পেনের এক সমাবেশে বাংলাদেশি টি-শার্ট সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ টি-শার্টের ভেতরে থাকা সব লেবেল কেটে ফেলে দেয়। কিন্তু ভুলক্রমে একটি টি-শার্টের লেবেল থেকে যায়। যাতে দেখা যায় ওই টি-শার্টগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ডানপন্থি এতদিন ধরে বলে আসছিলেন তার অর্থনৈতিক কর্মসূচির মূল ভিত্তি হবে ফ্রান্স। গ্লোবালাইজেশনের সমালোচনা করে সংরক্ষণশীল অর্থনীতির পক্ষে লে পেন তার জোরালো অবস্থান জানিয়ে আসছেন।
তবে নির্বাচনি প্রচারণার সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে বাংলাদেশে তৈরি টি-শার্ট ব্যবহার করছেন তিনি। পেনের এই দ্বৈতাচারী ভূমিকায় সমর্থকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পেনের প্রচারণায় ব্যবহৃত বেশিরভাগ টিশার্টের লেবেলই কেটে ফেলা হয়। যেন কেউ বুঝতে না পারে যে ঠিক কোথা থেকে এই টি-শার্ট তৈরি করা। তবে টেলিভিশনের এক রিপোর্টার একটি টি-শার্টে মেড ইন বাংলাদেশ লেবেল দেখতে পান।
এ বিষয়ে টি-শার্ট বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দাবি করেন এটি ফ্রান্সেই তৈরি করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, লি পেনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে টি-শার্টের বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। কারণ এগুলো ফ্রান্সেই তৈরি করা হয়েছে। এমব্রয়ডারিও এখানে করা হয়েছে। তবে লেবেলগুলো কেন কেটে ফেলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব অবশ্য তিনি দিতে পারেননি।
লি পেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মেইড ইন ফ্রান্স’ কথাটি অনেকবার ব্যবহার করেছেন। এজন্যই ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ টি-শার্টে তার সমর্থকরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছেন।
গত সপ্তাহে ডানপন্থী ফ্রন্ট ন্যাশনাল পার্টি প্রধান থেকে পদত্যাগ করেন লি পেন। এতে সব ফরাসি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব সহজ হবে বলে যুক্তি দেখান তিনি।
জাতীয়তাবাদী অবস্থানে অনড় দাবি করলেও এর আগে মরক্কো থেকে আমদানি করা টি-শার্ট ব্যবহার করেছে তারা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বেসবল ক্যাপগুলোতে বাংলাদেশে তৈরি ক্যাপ ব্যবহার করেন। বিষয়টি নিয়ে তখন অনেক সমালোচনা হয়।