আমদানি শুল্ক বাড়ানো আর বন্যার কারণে অস্থির চালের বাজার
আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার পর থেকেই বাড়ছে চালের দাম। আর সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও অকাল বন্যাকে পুঁজি করে বাজার এখন অস্থির। এ অবস্থায় চাল আমদানিতে সাময়িকভাবে শুল্ক প্রত্যাহারের কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়। তবে অর্থনীতিবিদরা শুল্ক পুরোপুরি তুলে না নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। মিল মালিকরা যেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সেদিকে নজরদারির দাবি ব্যবসায়ীদের।
বেশ কয়েক বছর ধরে চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। তবে, অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দামের ওপর এখনও রয়েছে আমদানির প্রভাব। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চাল আমদানিতে শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার পর থেকে লাগাতার বাড়ছে চালের দর।
গেল এক বছরে প্রায় ১৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এককেজি মোটা চালের দাম। মিনিকেট, পারিজা, নাজিরশাইল চালের দামও কেজি প্রতি বেড়েছে প্রায় ৮ থেকে ১২ টাকা। এরই মধ্যে অকাল বন্যায় ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, তার নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছে বাজারে।
নিয়মিত চাহিদার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তামূলক সরকারি কার্যক্রম বাড়ায় এপ্রিল মাস শেষে সরকারি গুদামেও চালের মজুদ কমেছে অর্ধেক। মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক সাময়িক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে তা কমানোর পক্ষে মত, অর্থনীতিবিদদের।
চালের বাজার যেন সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকার দাবি আড়ৎদারদের।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে গেল মার্চের তুলনায় এপ্রিলের শেষভাগে চালের আমদানি বেড়েছে ১শ'১১ শতাংশের বেশি।