গলাচিপায় কেন্দ্রীয় কালি বাড়ি আঙ্গিনায় ৬৪ প্রহর ব্যাপী শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম Channel 4TV : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কেন্দ্রীয় কালি বাড়ি আঙ্গিনায় ৬৪ প্রহর ব্যাপী ৭০ তম শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্ত্তনের বরিবার তৃতীয় দিন অতিবাহিত। কেন্দ্রীয় কালি বাড়ী আঙ্গিনাটি পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। গত ২১শে বৈশাখ ১৪২৪ বাংলা এবং ৫ মে ২০১৭ইং রোজ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্ত্তন আগামী ২৮শে বৈশাখ এবং ১২মে রোজ শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। এরপরে ২৯ ও ৩০ বৈশাখ এবং ১৩ ও ১৪মে রোজ শনি ও রবিবার উক্ত আঙ্গিনা প্রাঙ্গনে দু’দিন ব্যাপী শ্রী কৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে। ৩১শে বৈশাখ এবং ১৫ মে রোজ সোমবার মহানাম যজ্ঞ ও লীলা কীর্ত্তনের পূর্ণাহুতী মহোৎসব ও কাঙ্গালী ভোজ এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গঁল কামনায় পাপাচ্ছন্ন ধরাধামে বিশ্বের সকল প্রাণীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় তমাসাচ্ছন্ন ঘোর কলির কঠোর যন্ত্রণায় জগৎ জীবন সংসার সর্বগ্রাসী ভোগবাদের করাল কষাঘাতে নিস্পেষিত। সনাতন ধর্মের অমৃতবাণী বিস্মৃত হয়ে অধর্ম আর কুসংস্কারের আবর্তে মানবকুল আজ অনিশ্চিত অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই পতন প্রবণ মানবতা উদ্ধারণে মুক্তির দূতরুপে আবির্ভূত হয়ে মহাবতার শ্রীশ্রী গৌ সুন্দর লীলাচ্ছলে বিলিয়েছিলেন শ্বাশত বিশ্ব শান্তির মহামন্ত্র- “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে”। ঘোর কলির অমানিশার কঠোর যন্ত্রনায় জগৎ জীব অধর্মের করাল কষাঘাতে নিস্পেষিত। বিশ্বব্যাপী আজ চরম অশান্তির লেলিহান অগ্নিশিখা গোটা মানব সমাজকে ঘিরে ফেলেছে। প্রতিটি মানুষ সন্ত্রাসী চক্রবৃহ্য মধ্যে আবদ্ধ, বিপদের আশয় ভীতচকিত, দিক ভ্রষ্ট ও পথ হারা। ক্রমাগত প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলেছে। ধরিত্রী আজ পাপের ভারে মুহ্যমান। তাই আমাদের এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার লক্ষ্যে ৬৪ প্রহর ব্যাপী মহা নাম সংকির্ত্তন। বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গঁল কামনায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালি বাড়ী মন্দির কমিটি প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ ভাগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ঐতিহ্যাসিক এ অনুষ্ঠানের ব্যাপকতা এ উপজেলা ছাড়িয়ে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই এ অনুষ্ঠানে আসতে ভক্ত সংখ্যা বেড়েই চলছে। অনুষ্ঠানে আগত ভক্তদের জন্য তিনবেলা প্রসাদের ব্যবস্থা করেছে কমিটি। শ্রীশ্রী সংকীর্ত্তনের স্থল থেকে অনেক দূর পর্যন্ত এ উপলক্ষে একটি মেলার রুপ ধারণ করে। এতে স্থানীয়দের তৈরী কুটির ও হস্তশিল্প সহ দেশ- বিদেশের বিভিন্ন তৈজসপত্র, ঠাকুর দেবতার বিগ্রহ প্রদর্শিত হয়। কেন্দ্র্রীয় কালি বাড়ী মন্দিরের পুরোহিত বাসুদেব চক্রবর্তী ও মিন্টু চক্রবর্তী বলেন, আগামী ৩১শে বৈশাখ মহা প্রসাদের মধ্য দিয়ে আমাদের অনুষ্ঠান শেষ হবে। এ ব্যাপারে কালি বাড়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু রাম কৃষ্ণ পাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালি বাড়ী আঙ্গিনায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ হরিনাম কীর্ত্তনের আয়োজন করেছি। দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভক্তদের জন্য সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি বাবু সুনিল কুন্ড এ প্রতিবেদকে জানান, এ বছর আমরা ভক্তদের সুবিধার্থে আঙ্গিনার ভিতরে সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত ফ্যান ও ভক্তদের তিন বেলা প্রসাদের ব্যবস্থা করেছি।