পূর্ব শ্যামপুরে ভূয়া ডায়াগনস্টিক কর্তৃক প্রতারিত হচ্ছে জনসাধারণ
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম Channel 4TV :
ঢাকার কদমতলী থানার পূর্ব শ্যামপুর ০৫ নং ওয়ার্ডে মাদবর বাজারে আজমেরী হেলথ কেয়ার সেন্টার নামে একটি অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক কর্তৃক অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেদক অনুসন্ধানের জন্য গেলে, কথা হয় আজমেরী হেলথ কেয়ার সেন্টার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোঃ শাহজাহাল সরকারের সাথে। প্রতিবেদক শাহজালাল সরকার কে তার কেয়ার সেন্টার এর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, তিনি জানান আমি আমার সেন্টারে মীডফোর্ট হাসপাতালের ৩/৪ জন ডাক্তার বসাই এবং আলট্রাসোগ্রাম করাই।ঔষধ বিক্রি করি। রক্ত ও প্রসাবের পরিক্ষা করেন কিনা প্রতিবেদকের এম প্রশ্নে সে ২/৩ মিনিট হিমসীম খেয়ে বলেন ছোট্ট ছোট্ট দুই ২/৩ টা রক্ত পরীক্ষা করাই। ছোট্ট পরীক্ষার মধ্যে কি কি পরীক্ষা করেন এমন প্রশ্নে সে জ্বর, ডায়াবেটিস ছাড়াও আরও কিছু কিছু পরীক্ষা করান বলে স্বীকার করেন। পরীক্ষা কে করেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমি নিজেই পরীক্ষা করি। আপনার কি যোগ্যতার বলে পরীক্ষা করান এমন প্রশ্নে তিনি জানান আমি চার বছরে টেকনিক্যাল প্যাথলজিষ্ট কোর্স করেছি। প্রতিবেদক ব্লাড পরীক্ষার কয়েকটি ক্লিনিক্যাল নামের মিনিং ও কত প্রকার আলট্রাসোনোগ্রাফী মানুষের হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে সক্ষম হন নাই। চার বছরের টেকনিক্যাল সনদের ফটোকফিটি থাকলেও আদৌও সে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা -নিরীক্ষা বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন কিনা তার ভাস্যমতে তাতেও সন্দেহ থেকে যায়। আর পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার কোন ধরনের বৈধ সনদ দেখাতে পারেন নি তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোন রোগী ডাক্তার দেখানো কিংবা ২/১ টা ঔষধ কিনতে গেলে অধিকাংশ অল্প শিক্ষিত শ্রমজীবি ঐ এলাকার লোকজনকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ প্রদান করে রোগী প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধভাবে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। ডাক্তার শাহজালাল সরকারের বিষয়ে ঐ এলাকার কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি জানান, আমরা পরীক্ষাগুলো উন্নত ডায়গনস্টিকের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় আজমেরী হেলথ কেয়ার সেন্টারের পরীক্ষা নিরীক্ষায় মানুষ প্রতারিত হওয়ার সেন্টার। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বর জনাব মোঃ ওকালদ্দিন মাদবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আজমেরি হেলথ কেয়ারের প্রতারনার কথা আগেও শুনেছি তখন বিসয়টি এতটা গুরত্ব দেইনি এখন যেহুতু আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম, আমি অতি সত্ত্বর আমার এলাকার জনগণের স্বার্থে প্রতারিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়িয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নিব। আর আপনার মাধ্যমে সিভিল সার্জন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে এই প্রতারিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করে জনগণের সুরক্ষা করার জন্য। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অফিসিয়াল টেলিফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভাব হয়নি।