শাওন বলেন অপরাধ বাবার শ্রীপুরে দারোগার হুমকির ভয়ে স্কুল ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ৮ম শ্রেনীর ছাত্র শাওন!
টি.আই সানি,গাজীপুর Channel 4TV :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাবার অপরাধের মাশুল দিতে হচ্ছে স্কুল ছাত্র শাওনের,উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণী ছাত্র শাওন (১৩),দারোগার ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে,বাড়ি ঘর ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
শাওনের মা নাছিমা জানান,অন্যাই করলে করেছে আমার স্বামী,কিন্তু আমার শিশু সন্তান তো কোনো অপরাধ করেনি,বার বার দারোগা আমার বাপের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে যে আমার সন্তানদের কে ধরে নিয়ে যাবে,এবং আমার বাব ভাইদের কেও ধরে নিয়ে চালান দিবে,এই দারোগার ভয়ে আমার ছেলে মেয়ে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে,বাড়িতেও থাকতে পারছেনা দারোগার ভয়ে। নাছিমা আরো বলেন,ছেলে সন্তাদের নিয়ে বিষ খেয়ে এই দুনিয়া থেকে চিরতরে চলে যাব,এ ছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা নেই।
শাওনের নানা নুরুল ইসলাম নুরু জানান,আমার মেয়ের জামাই অপরাধী,তাই বলে কি দারোগা আমার নাতিদের ধরে নিতে পারে, মেয়ের স্বামীর বাড়ি বাশঁবাড়ি,আর আমার বাড়ি ধনুয়া,আমি থাকি আমার কাজে,মেয়ের জামাইয়ের সাথে আমাদের পরিবারের কেওর সাথেই যোগাযোগ নেই। অপরাধ করেছে আইন সাস্তি অপরাধীকে দিবে,আমার নাতিন বা মেয়ে ও আমরা কি অপরাধ করেছি।
শ্রীপুর থানার এস,আই মাজাহারুল ইসলাম ২মে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়ে নাছিমা, নাতিন শাওনসহ আমাকে আর আমার ছেলে রুহুল কেও হুমকি দিয়ে গেছে,যে তোর মেয়ের জামাইকে না পেলে,তোর নাতিন আর তোর ছেলেকে ধরে নিয়ে চালান দিব। এই ভয়ে আমার মেয়ে ও নাতিনরা কোথায় আছে তা আমি আজও জানি না। দারোগার হুমকির ভয়ে আমার ছেলে ব্যবসা বানিজ্য ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
নাতিন শাওন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দারোগা বার বার আমার বাড়ি এসে হুমকি দিচ্ছে,এবং ৫০হাজার টাকা দিয়ে মেনেজ হওয়ার কথাও বলে আসছে। টাকা না দিলে আমাদের যে কাওকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে।
উলেখ্য:- শ্রীপুর উপজেলার শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিষয়ের এক শিক্ষক, যার নাম আমিনুল মাস্টার।
সে কৌশলে ধারণ করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর কিছু ছবি। পরে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার ফাঁদ পাতেন আমিনুল। বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তোলা আপত্তিকর কিছু ছবি ছড়িয়ে পরে ফেসবুকে।
আর এই অভিযোগে আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তও করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি। এর পর থেকে অতœগোপনে চলে যান আমিনুল মাস্টার।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শুরু হয়েছে পুলিশের অভিযান। দফায় দফায় অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
৩০এপ্রিল রোববার স্কুল পরিচালনা কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং আপত্তিকর সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মেয়ের চাচা বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।