নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন আওয়ামীলীগ প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষনা
শাহ মো:জিয়াউর রহমান
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো: মোখছেদুল মোমিন তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। গতকাল (বৃহষ্পতিবার) বিকাল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোটর শ্রমিক নেতা ও সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সহ-সভাপতি মো: জোবায়দুল ইসলাম শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মো: মোজাম্মেল হক, পৌর আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল সরকার, জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি রাবেয়া আলিম, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, পৌর যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস আলী, সাবেক রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী কমান্ডার শাহজাহান সরকার বাবুল।
নৌকা প্রতিকের কান্ডারী বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো: মোখছেদুল মোমিন তার ঘোষিত ইশতেহারে সৈয়দপুর উপজেলাকে একটি ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে তা নির্বাচিত হলে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
তিনি তার ঘোষিত ১৪ দফা ইশতেহারে যা উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সেনিটেশন, সমাজ কল্যাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ। নারী উন্নয়ন, জনকল্যান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও যুব সমাজের উন্নয়ন। শহর থেকে গ্রামে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক উপজেলা পরিষদ গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ ফুটবল টূর্ণামেন্ট, মৌসুমী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে আন্তস্কুল ও আন্ত কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাংস্কৃতিক উন্নয়ন। সৈয়দপুর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে তোলা। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সৈয়দপুর পৌরসভার মধ্যে বিরাজমান রেলভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও মাদকমুক্ত উপজেলা গড়া। ট্রাক-পিকআপ, মাইক্রোবাস ও কোচ স্ট্যান্ড এর জন্য আলাদা টার্মিনাল নির্মাণ। গরীব মেহনতি মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান। বিসিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ইন্সটিটিউট হিসেবে রুপান্তরিত করা। ড্রেনেজ ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। ২২ টি ক্যাম্পবাসীদের জন্য আধুনিক জীবনমান গড়ে তোলার জন্য যুগোপযোগী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টান ভাইদের স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারেন এবং কোনভাবেই সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচিত না হওয়া বিষয়ে নিরাপত্তা প্রদান।