পচনশীল পাট দিয়ে পলি ব্যাগের বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব
দেশে উৎপাদিত পাট দিয়ে বছরে ১ শ’ ৬০ বিলিয়ন মেট্রিক টন পচনশীল পাট পলি ব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের পরমানু বিজ্ঞানীরা এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ ব্যাগ তিনমাসের মধ্যে মাটিতে মিশে যাবে।
১ শ’ ৬০ বিলিয়ন মেট্রিক টন পচনশীল পাট পলি ব্যাগ বিশ্বের পলিবাগ চাহিদার চারভাগের এক ভাগ। আর এ বাজারকে ধরতে পাট থেকে পচনশীল পলিমার ব্যাগ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়।
পাটের জন্ম রহস্য আবিস্কারের পর থেকেই পাটকে কীভাবে আরো বড় পরিসরে কাজে লাগানো যায় সে চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ডক্টর মোবাররক হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্বে প্রথমবারের মতো দেশীয় বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন পাট থেকে পচনশীল পলিব্যাগ।
রাজধানীর পাশে সরকারি পাটকল আব্দুল লতিফ বাউয়ানী জুটে মিলে এ পচনশীল পলিব্যাগ প্রযুক্তি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে দেখানো হয় ।
সরকার আশা করছে, এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পাট ও পাট চাষীদের সুদিন পুরোপুরি ফিরে আসবে।
পাট থেকে প্রথমে সূতার মতো সেলুলজ তৈরী হবে। এরপর তা পর্যায়ক্রমে গুড়ো করে তরল পদার্থে রুপান্তর। সেই তরল দিয়ে তৈরী হবে পলিথিনের ব্যাগের চেয়েও শক্ত পচনশীল পলিব্যাগ। আপাতত দিনে ২ হাজারের মতো তৈরীর সক্ষমতা আছে।