ঝিনাইদহে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের বাজেট ওয়াল লিখন অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ Channel 4TV :
আগামী বাজেটে ঝিনাইদহ জেলায় কোন কোন খাতে কী কী বরাদ্ধ চান এ সংক্রান্ত বাজেট ওয়াল লিখন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার থেকে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে দাবিনামা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে দাবিনামা সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দাবিনামা লিখেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল আলিম।
বাজেটকে গণমুখি এবং জেলার বাজেট জেলাতে করতে পারলে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন সহজ হবে বলে মত প্রকাশ করে । দাবিনামা লিখেন সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুষেন্দু কুমার ভৌমিক, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক আমিনুর রহমান টুকু, সদস্য সচিব হায়দার আলী, সদস্য শরিফা খাতুন, এডভোকেট খোদা বকস, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক আহম্মদ আলী, পৌর কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধু, গোলাম মোস্তফা, সমাজ কর্মী ও যুগ্ম আহবায়ক, ডিবিএম ও উন্নয়ন ধারার পরিচালক শহিদুল ইসলাম।
এছাড়ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দিনভর তাদের দাবিনামা লিখেন। এছাড়া সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকবৃন্দ্ব এখানে উপস্থিত হয়ে আগামী বাজেটে ঝিনাইদহ জেলার উন্নয়নের জন্য নি¤েœ উল্লিখিত দাবি দাওয়া বাজেট ওয়ালে লিপিবদ্ধ করেন।
দাবিসমূহ: কৃষিতে স্বয়ং সম্পুর্ণ জেলা হিসাবে ঝিনাইদহে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা,ঝিনাইদহে বৃটিশ আমলে রেলপথ ছিল সেই রেলপথটি পুণরায় চালু করা, নবগঙ্গা নদীসহ জেলার ৭টি নদী পুণর্খনন করার ব্যবস্থা করা, ঝিনাইদহে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা, দত্তনগর কৃষি খামার কেন্দ্রিক একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা,বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোকে সরকারিকরণের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা, জেলার কৃষি উন্নয়নের জন্য আধুনিক সেচ ব্যবস্থাসহ কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমানো, গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন ও পাকা রাস্তা নির্মাণ করা, হাসপাতালের উন্নয়নসহ সকল স্বাস্থ্য পরিসেবার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখা, জেলার বেকারদের কর্ম সংস্থানে মাঝারি ও ভারি শিল্প স্থাপনের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করে কৃষিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বাজেট বাড়ানো, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের জন্য জাতীয় বাজেট থেকে জনসংখ্যা অনুযায়ী বরাদ্দ রাখা, জেলাভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ রাখা, ইত্যাদি।