হুইল চেয়ার না থাকায় স্কুলে যেতে পারেনা প্রতিবন্ধী কবিতা
আসাদুল্লাহ মাসুম, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি Channel 4TV :
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়ন বেলাশী গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দীনের স্ত্রী প্রতিবন্ধী কবিতার (১১) দাদী রোশেদা বেগম (৬৫) জানান। কবিতার লাইগা একটা চেয়ার দরকার। পাশের বাড়ির মাইয়াডা(মেয়েটা) লেখাপড়া করে। কবিতাও পড়তে চায়। তিনি আরও বলেন, আমার টাকা থাকলে একটা চেয়ার কিনতাম। এই যে দেহেন মাটির ঘর। এইডা ওই বাড়ির মিয়া হাজী বানাইয়া দিছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বেলাশী গ্রামের কবির হোসেন এর মেয়ে কবিতা। গাজীপুরে একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কবির হোসেন চাকুরী করে। কবিরের টানা পোড়ন সংসারে স্ত্রীকে নিয়ে চলতে পারেনা। মেয়ে কবিতাকে দাদীর কাছেই রেখেছে। গত ২০১৫ সালে কবিতাকে বাড়ী থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে হীরামন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করে। কিছু দিন কবিতাকে দাদী কোলে করে স্কুলে নিয়ে যায়। হুইল চেয়ার না থাকায় পরে আর স্কুলে যেতে পারেনা।
বেলাশী প্রগতি একাডেমির প্রধাণ শিক্ষক মুন্জরুল হক জানান, কবিতার পরবিার দরিদ্র থাকায় তাকে হুইল চেয়ার কিনে দিতে পারেনা তাকে যদি কেউ সহযোগিতা করে তাহলে সে পড়া লেখা করতে পারবে।
হীরামন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা খাতুন বলেন, কবিতা কয়েকবছর আগে এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কবিতা বিদ্যালয়ে অনিয়মিত। নিয়মিত হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিদ্যালয় থেকে প্রতিমাসে ১০০টাকা ও প্রতি ঈদে পাবে ৩০০ টাকা। এছাড়া উপবৃত্তি পাবে মাসে ৫০০ টাকা। এখন কি অবস্থায় আছে আমি খোঁজ নিব । তবে আমার জানা মতে তাঁর হুইল চেয়ার নেই। চেয়ার হলে স্কুলে আসতে পারত।
কাপাসিয়া প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিও থেরাপিষ্ট হারুন অর রশিদ বলেন, জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হলে তাঁর ফিজিক্যাল কন্ডিশান দেখে থেরাপি দিতে হবে। স্ট্যান্ডিং ব্যালেন্স না থাকলে ব্যালেন্স ফিরিয়ে আনতে হবে। স্ট্যান্ডিং ব্যালেন্স না থাকলে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে পারে।
উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সঞ্জিবন চন্দ্র মল্লিক বলেন, সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড (সি আর পি’র) টিম এসে তাঁকে ওয়াকিং স্টিক ব্যবহার করতে বলেছে। হুইল চেয়ারের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেননা।