বনানীতে ধর্ষনের ঘটনা স্বীকার করেছে নাঈম আশরাফ
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সতত্যা স্বীকার করেছে নাইম আশরাফ। মুন্সীগঞ্জ থেকে গত রাতে গ্রেপ্তারের পর তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বাদীর অভিযোগ করা ঐ রাতের ভিডিও উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্ত দল। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ ঘটনায় গাফিলতির প্রমান মিললে পার পাবে না কেউই। ৬ মে মামলা দায়েরের পর ৫ আসামীর মধ্যে সাফাত, সাফিকসহ গাড়িচালক ও দেহরক্ষী এরই মধ্যে ধরা পড়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর জালে। তবে বনানীতে জন্মদিনের পার্টিতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার এজাহারে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো সবচেয়ে বেশি সেই নাইম আশরাফ ছিলো অধরা। অবশেষে বুধবার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের বিশেষ শাখা গ্রেপ্তার করে নাইম আশরাফকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঐ রাতে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে বাদীর অভিযোগ করা ভিডিও সম্পর্কে এখনো পরিস্কার তথ্য পায়নি তদন্ত দল। মামলা নেয়া এবং পরবর্তী সময়ে বনানী থানার ওসির গাফিলতি আছে কিনা তা এখনো তদন্তাধীন বলে জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। এছাড়াও হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের ঐ রাতের ভুমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে কারো কোন গাফিলতি থাকলে ছাড় দেয়া হবে না। ধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত সাফাত আহমেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের ৫টি শাখায় সিলগালা করা সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণের উৎস ও ব্যাখ্যা প্রদানে আগামী ২৩ মে দুপুরে, বলেছে শুল্ক গোয়েন্দা।