সিলেটে প্রক্সিতে অবশেষে ফেঁসে গেলেন দু’আইনজীবি
চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) Channel 4TV:
‘চোরের দশ দিন সউদের এক দিন’ এ প্রবাদ বাক্যের ন্যায় দীর্ঘদিনের অব্যাহত জালিয়াতি ও প্রতারণায় অবশেষে ধরা খেয়েছেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনয়নের চেচান (বাউর) গ্রামের এডভোকেট সাহাব উদ্দিনসহ ৬জন। খোদ বিজ্ঞ বিচারকই তাদের উপর আদালতে প্রতারণামূলক প্রক্সি দেয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন। মামলায় সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এড আকমল খানও সুনামগঞ্জ জলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এড সাহাব উদ্দিনসহ আসামি ৬জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়রা জারি করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে জামিন নেয়ায় আদালতের বিচারক মো.মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী বাদী হয়ে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে বুধবার (১৭মে’ ২০১৭ইং) (কোতোয়ালি থানার সিআর মামলা নং-৬৬২/২০১৭) দায়ের করেন। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা মামলাটি আমলে নিয়ে এগ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
অন্যান্য আসামিরা হচ্ছে, সিলেট ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার সৈয়দপুর ও বর্তমানে সিলেট বিমানবন্দর থানার হাউজিং এস্টেটের ৪নং রোডের ২৮/বি নং বাসার আশিকুর রহমান চৌধুরীর পুত্র আহমেদ জামান চৌধুরী ফরহাদ, প্রক্সি আসামীর স্থানীয় জামিনদার জালালাবাদ থানার আখালিয়া নোয়াপাড়া ৩০/৩ বাসার মৃত ছোরাব আলীর পুত্র ছাদিক মিয়াসহ ৬জন। আদালত সূত্র জানায়, সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানার জিআর মামলা নং-৩২/১৬ সংক্রান্তে আসামি আহমেদ জামান চৌধুরী গত ২মে’ তার আইনজীবি মোহাম্মদ আকমল খানের মাধ্যমে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ আত্মসমর্পনপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। এসময় আসামীপক্ষের আইনজীবি মামলার বাদীর সাথে বিবাহ হয়েছে এবং আপোষে বিবাহ নিষ্পিত্তি হয়েছে বলে বিবাহের বিভিন্ন কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি দাখিল করেন। এমনকি ওই সময় মামলার বাদী ফাহমিদা হক সাজিয়ে অজ্ঞাত এক মহিলাকে আদালতে উপস্থাপন করে তাদের মধ্যে পারিবারিক আপোষ হয়েছে বলে আদালতে কথিত ফাহমিদা হকের পক্ষে তথ্য উপস্থাপন করেন এড, সাহাব উদ্দিন। এসময় ওই আসামি জামিনে যেতে আপত্তি নেই মর্মে আদালতে আবেদন দাখিল করা হয়। এজহার নামীয় আসামি ফরহাদ এর বিরুদ্ধে তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ২০১৬সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা নং-১৫ দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নং ৩২/২০১৬।
এদিকে গত ১৬মে’ মামলার বাদি শাহপরাণ থানার হাতিমবাগ ২৩/এ বাসার বাসিন্দা ফাহমিদা হক তার আইনজীবি আকবর হোসেনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র দাখিল করে আদালতকে অবহিত করেন যে, ২মে’ মামলার আসামি ফরহাদের স্ত্রী সেজে যে ফাহমিদা হক আদালতে উপস্থিত হন তিনি মামলার প্রকৃত বাদি ফাহমিদা হক নহেন। বিষয়টি আদালতের প্রতিয়মান হয়।