নবীগঞ্জে রাস্তার কাজের অনিয়ম দূর্নীতি
ছনি চৌধুরী,(হবিগঞ্জ) নবীগঞ্জ প্রতিনিধি Channel 4TV :
নবীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সকল এলজিইডি কর্তৃক নতুন ও পুরাতন সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ন দূর্নীতি কারণে হতাশায় সচেতন মহল। এসব দেখার যেন কেউ নেই। প্রায় রাস্তারই একই অবস্থা, শুধু নামে মাত্র উন্নয়ন! সরকার কিন্তু ঠিকই জন সাধারনের রাস্তা-ঘাট সহ বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য প্রতিটি এমপিদের কাছে টাকা দিচ্ছে। কিন্তু নামদারি কতিপয় কিছু পাতিনেতারা জন সাধারনের মহত কাজ ও সরকারের টাকা অবৈধ ভাবে লুটপাট করে অনিয়ম দূর্নীতি করে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজের ঠিকাদার সহ এর পেছনে প্রভাবশালী একটি মহল রাস্তার কাজে দূর্নীতি করছে! সচেতন মহল জানতে চায় ওরা কারা? একটি রাস্তার কাজ সঠিক ভাবে করা হলে কম পক্ষে ৩ থেকে ৪ বছর ভাল ভাবে জনসাধারন চলফিরা করতে পারবে এতে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু দূর্নীতির মাধ্যমে উৎকৃষ্ট গালার বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে পুড়ানো মবিল, বালুর বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে পলি মাঠি! স্থাণীয় সচেতন লোকজন প্রায় প্রতিটি রাস্তার কাজে অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ করলেও কোন কাজ হচ্ছে না। অনেক রাস্তায় অনিয়ম দেখে স্থানীয় লোকজন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু মধ্য রাতে ওই শ্রমিকরা কাজ করে ভোর হওয়ার পূর্বেই তাদের সকল যন্ত্রাংশ নিয়ে গা ডাকা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে, উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার মাদ্রাসা পয়েন্ট টু রুস্তুমপুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত সড়কের নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম অনিয়ন দূর্নীতির কারণে স্থানীয় আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মুহিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ জজ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন গত শনিবার বিকালে ৩৭ লাখ টাকার কাজে অনিয়ম দূর্নীতি দেখে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন কি বর্তমান সরকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু নবীগঞ্জের আউশকান্দির উত্তর দৌলতপুর গ্রামে ২জন সচেতন নাগরিক স্থানীয় এমপির কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু তাদের কাজে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভাবে তাদের মহৎ কাজের বেঘাত করছে। এতে ঐ দুই ব্যক্তির সরকার সহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন। এ নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আউশকান্দি এলাকার অনেক সচেতন মহলের লোকজন সহ ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান সুহেল রাস্তার ছবি সম্বলিত একটি ষ্ট্যাটসে লিখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের নিকট আকুল আবেদন করেন। এনিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আব্দুল হামিদ নিকছন, নাজমূল হক চৌধুরী পলাশ, রোমন আহমদ, শওকত মিয়া, শামিম আহমদ, দুলাল মিয়া, আব্দুর রহিম, যুবলীগ নেতা আল আমিন, মন্টি ঠাকুর সহ অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেখেন আমাদের সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ঠ করার জন্য জন সাধারন চলাচলের রাস্তার কাজে কি ধরনের পুকুর চুরি করছে! গ্রামগঞ্জের রাস্তার ঘাটের এমন ভাবে যদি কাজ করা হয় তাহলে কি আমাদের বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার কতটুকু করা সম্ভব হবে? আপনার লিখুন, সরকার জানুক তার টাকায় সঠিক ভাবে নেতার কাজ করছে না..। সরকারের ভাব মুর্তির দিকে লক্ষ করে অতিবিলম্বে এসব দূর্নীতির দিকে নজর দিয়ে প্রশাসনিক ভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান সচেতন মহলের লোকজন।নবীগঞ্জ এলজিইডির মাধ্যমে শুরু হয়। এতে বরাদ্ধ করা হয় ৩৭ লক্ষ টাকা। হবিগঞ্জের জনৈক ঠিকাদার কাজের দায়িত্ব পেয়ে প্রায় ১৫দিন আগে কাজ শুরু করেন। সড়কের কাজে পাথরের পরিবর্তে ইটের সুরকি কংকিট ব্যবহার করেন।এক ইঞ্চি কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তার ৫/৬ মিলি পরিমান কার্পেটিং করেন এবং নীচের মাটি না সরিয়ে ভিটুমিন এর পরিবর্তে জ্বালানী মবিল দিয়ে উপরে ভিটুমিন দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করার ফলে দুদিনের মাথায় সকল কাপেটিং উঠে যাচ্ছে। মানুষ হাত দিয়ে টান দিলে এসব কার্পেটিং কাগজের মতো উঠে যাচ্ছে। গতকাল বিকালে স্থানীয় জনতা ব্যবসায়ীবৃন্দ কাজ বন্ধ করে দেন।