বাতাসের চাপ কিংবা গরমের আবাস পেলেই লোডশেডিং শ্রীপুরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ গ্রাহক
টি.আই সানি,গাজীপুর Channel 4TV :
গাজীপুরর শ্রীপুর উপজেলায় গত কিছুদিন ধরে হঠাৎই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়া এবং রোধের প্রখরতায় মাত্রাতিরিক্ত গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয় ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সকাল থেকে সারাদিন একাদিকবার লোডশেডিংয়ে কারখানাসহ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে তাপমাত্রাও। দিনের বেলা কয়েক ধাপ লোডশেডিংয়ে দিয়েই শেষ নয়, সন্ধা হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় লোডশেডিংয়ের খেলা। কখনও কখনও রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ কয়েকবার আসা যাওয়া করতে থাকে এবং রাত ১২টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে একাধারে লোডশেডিং আবার কখনও কখনও সন্ধা হতে সকাল পর্যন্ত চলে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া খেলা।
বর্তমানে লক্ষকরা যায়, আবহাওয়ার কোন ব্যতিক্রম ঘটলে বা একটু বাতাসের আবাস হলে বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ লাইন ঘন্টার পর ঘন্টা।
ছোট পরিসরে বসবাসরত ঘনবসতির অসহায় মানুষগুলো একমাত্র বিদ্যুৎ নির্ভরশীল হওয়ায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে, পাশা পাশি ছোট শিশুরা অতিরিক্ত গরমে সর্দি জ্বর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে পানির সংকট দেখা দেয় যা ফলে বাসস্থলির কাজকর্ম সহ সময় মত গোসল করা যাচ্ছেনা।
শ্রীপুর পৌর বাসিন্দা বিদ্যুৎতের গ্রাহক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পল্লী বিদ্যুৎতের কার্যক্রমে আমরা সাধারণ গ্রাহকরা খুবই অতিষ্ঠ। আকাশে একটু বিদ্যুৎ চমকাল বা তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় লোডশেডিং আর এটা চলে ঘন্টার পর ঘন্টা।
মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা হাসপাতালের মালিক আবুল হোসাইন বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। যদি লোডশেডিং এর কোন নির্ধারিত সময় বাধা থাকত তবে আমরা নিশ্চিন্তে চিকিৎসার কাজ সম্পন্ন করতে পারতাম।
মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আতিকুজ্জামান জানান, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী যতটুকু মেগাওয়াট দরকার তার তুলনায় ৫০ ভাগও পাওয়া যাচ্ছেনা যার ফলে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে রাখতে হয়।