শ্রীপুরে সরকারী খাস জমি দখল ও পুকুর ভরাট করে পাকা ঘর বাড়ি নির্মাণ
টি.আই সানি,গাজীপুর Channel 4TV :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা মৌজার সরকারী খাস জমি দখল ও পুকুর ভরাট করে পাকা ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে। মাওনা মৌজার আর এস ৩৮৪৩ এর ২নং খতিয়নের জমি ও ভাওয়ার পুকুরের চার পাশে দীর্ঘ দিন যাবৎ বসবাস করে আসছে ভুমিহীনরা।
স্থানীয়রা জানান,এলাকার কিছু ভূমিদস্যু পুকুরের জমি দখল করে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জয়নাল মিয়া বলেন,আমিতো বিক্রি করিনি ,ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকার জন্য মাটির ঘর তৈয়ারী করতেছি। কিন্তু আলী আহম্মদ,নুরুল ইসলাম,আকবরসহ অনেকেই অবৈধ ভাবে দখল করে জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। আলী আহম্মদ পাকা দালান ঘর তৈয়ারী করতেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়া পাড়া গ্রামের শনির পুকুর নামে সরকারি খাস জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন,মৃত ইউছুব আলীর ছেলে আলী আহম্মদ, মৃত ইউছুব আলীর আরেক ছেলে আকবর আলী, জাগা জমি থাকা সত্ত্বেও পুকুরের জমি দখল করে বাড়ি ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। পুকুর ভরাট করে রয়েছে ইউছুব আলীর ছেলে আকবর আলী,আমজাত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন, ইনছান আলীর ছেলে কদ্দুছ মিয়া,উছমান মিয়ার ছেলে রুহুল মিয়া, নরুল ইসলাম,আপেল,জয়নালসহ অনেকেই ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
স্থানীয় কিছু ভুমি দস্যুরা ওই সরকারি খাস পুকুর ভরাট করে ঘর বাড়ি নির্মানের নামে অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করছে। ইতি মধ্যে পুকুরের চার পাশ অবৈধ ভাবে দখল করে নিয়ে পাকা ঘর বাড়ি নির্মণ কাজও শুরু করেছে ভূমি দস্যুরা। শনির পুকুর পার থাকা এক ভূমিহীন কদ্দুছ মিয়া জানান, স্থানীয় এক প্রভাবশালির কাছ থেকে ৫শতাংশ খাস জমি এক লক্ষ ৮৫ হাজার কাটা বিনিময়ে ক্রয় করেছেন।
কিন্তু এতে কোনো প্রকার দলিল বা স্টেম্পনেই। এরকম আরেক ভূমিহীন ইসমাইল মিয়ার ছেলে রুহুল মিয়া বলেন, এক লক্ষ ৫০হাজার টাকার বিনিময়ে কিছু জমি নিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাস করছি। মৌখীক ভাবে টাকা দিয়েছি ,এজমি খাস থাকায় দলিল বা কোনো ডেট ডোকোমেন্ট হয়না।
মাওনা ইউনিয়ন ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি মেম্বার বলে,আমি অনেক বার নিষেধ করার পরও আলী আহম্মদ ঘর নির্মণ শুরু করেন,এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরা বর লিখিত আভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন আমার আর কিছুই করার নেই ওনারাই আইনানক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এবিষয়ে মাওনা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান,সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম শনির পুকুরপাড়ে কিছু ভুমিহীন রয়েছে তারা কোনো পাকা ঘর নির্মাণ করেনি। মৃত ইউছুব আলীর ছেলে আলী আহম্মদ ফরেষ্টরের খাস জমিতে পাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করেছিল তাকেও নিষেধ করা হয়েছে।
নতুন করে আলী আহম্মদ ঘর নির্মণ শুরু করেন। কিন্তু আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিষেধ করে এসেছি,তবে যারা এই পুকুর ভরাট বা পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে যতাযথ আইনানক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।