কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও প্রচণ্ড তাপদাহ চলবে আরও তিনদিন
দেশের কয়েক জায়গায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী চলমান প্রচণ্ড তাপদাহ আরও তিনদিন চলবে। এর মধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হলে গরমের প্রকোপ সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ এ. কে. এম. রুহুল কুদ্দুছ বুধবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হবার মতো পূর্বাভাস রয়েছে। কয়েক জায়গায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সারা দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হলে চলমান তাপদাহের প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায়। রাজধানী ঢাকায় বাতাসের আদ্রতা ৮৭ শতাংশ।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেশি থাকায় ঘাম বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রার থেকে ঘাম বেশি বিরক্তিকর। ঘামের কারণে গরমকে বেশি অসহ্য মনে হয়।অথযা সরাসরি সূর্যের নিচে বেশিক্ষণ ঘোরাঘুরি না করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বুধবারে সারাদেশের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তাদাহের প্রকোপ সব থেকে বেশি রাজশাহী, পাবনা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে। আরও তিনদিন এ তাপদাহ বয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে।
গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কর্মজীবী মানুষরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পানিশূণ্যতাসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে চিকুনগুনিয়া নামক মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে বেড়েছে লোডশেডিং। সব মিলিয়ে চলমান তাপদাহ জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।