ভোলা পল্লী বিদুৎতের জোড়পুর্বক টানা বিদুৎ লাইনের নিস্ঠুরতার শিকার লিয়ার আজও খোজ নেয়নি পল্লী বিদুৎ কর্তৃপক্ষ!!
এম.ইউ মাহিম চৌধুরী ভোলা জেলা প্রতিনিধি Channel 4TV :
ভোলা জেলার আলোচিত ঘটনা পল্লী বিদুৎ এর নিস্ঠুরতার শিকার নয় বছরের শিশু লিয়ার পঙ্গুত্বের জন্য ভোলা পল্লী বিদুৎতের সংশ্লিস্ট কতৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা,
তথ্য প্রমান, বাধা দেয়া সত্বেও জোড় পুর্বক ঘরের চালের উপর দিয়ে বিদুৎ লাইনের টানা ছবি, এলাকার সমাজকর্মী,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আজীবন পঙ্গুত্ববরনকারী শিশু লিয়ার মা, বাবা,ও পল্লী বিদুৎতের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কেফায়েতউল্লাহর সাথে কথা বলে এ অমানবিক,নির্মম,নিস্ঠুর ঘটনা প্রমানিত হয়েছে।
শিশু লিয়ার দুই পায়ের তিনটি করে আঙ্গুল ও বাম হাতের কব্জির উপর হতে সম্পুর্ন কাটা হাত নিয়ে ব্যাথার যন্ত্রনায় ছটফট করে ঢাকা মেডিকেলে কিছুক্ষন পর পর বলে উঠছে"আম্মু আমার হাতটি লাগিয়ে দাও"
আর নিস্পাপ এ শিশুটির হৃদয়বিদারক এ উক্তির জবাবে শিশুটির আম্মা এ বলে সান্তনা দিচ্ছেন তোমার হাতের ব্যান্ডেজ ভাল হলে ডাক্তার তোমার পুরো হাত লাগিয়ে দিবে।
দ্বীপজেলা ভোলার সদর উপজেলার ১৩ নং দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিন বালিয়া গ্রামের নেয়ামতপুর হাইস্কুল সংলগ্ন গ্রামে এক দরিদ্র দিনমজুরের নয় বছরের শিশু লিয়া ভোলা পল্লী বিদুৎতের অবৈধ নিয়ম বহির্ভুত জোরপুর্বক টানা বিদুৎ লাইনের নিস্ঠুরতার শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটের ৪র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডের ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শিশু লিয়ার জীবন এখন বিপন্নের পথে??
নিজ বাসা হতে মাত্র ৬০ ফুট দুরে লিয়ার নানার বাসায় সে
বিদুৎস্পৃস্ট হয়। লিয়ার নানার ঘরটি আজ হতে ২৫ বছর পুর্বে নির্মিত হয় এবং ঐ স্থানেই তাহারা স্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছেন। কারো বসত ঘরের উপর দিয়ে/বাসার ছাদ/টিনের চালের উপর দিয়ে কোন বিদুৎ লাইন টানানো অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভুত হলেও মাত্র সাত মাস পুর্বে লিয়ার নানার বাসার সামনের বারান্দার টিনের চালের মাঝ বরাবর উপর দিয়ে ভোলা পল্লী বিদুৎ এর লাইন টানা হলে লিয়ার নানার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও লিয়ার আম্মা মাফিয়া বেগম বাধা দেয়।কিন্তু কে শোনে গরীবের কথা ? এ নিয়ে অনেক বাগবিতন্ডা ও হয়। এক পর্যায়ে জোরপুর্বক পল্লী বিদুৎ এর লোকজন বিদুৎ লাইন বসত ঘরের সামনের বারান্দার টিনের চালের উপর মাত্র ২ ফুট উপর দিয়ে টানিয়ে নেয়।
গত মার্চ মাসের ২৭ তারিখ লিয়া সামনের বারান্দার টিনের চালে পাশে থাকা আম গাছ দিয়ে খেলার ছলে টিনের চালে উঠা মাত্রই বিদুৎস্পৃস্ট হয়। তাৎক্ষনিক ভোলা সদর হাসপাতাল বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হয়ে বর্ত
মানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটের মহিলা ওয়ার্ডের ৪র্থ তলার ১১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এত বড় একটি নির্মম,নিস্ঠুর,
ঘটনার পর প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও পল্লী বিদুৎ এর জিএম
ও সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাবৃন্দ
খোঁজ খবর নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেন নি। এ বিষয়ে ভোলা পল্লী বিদুৎ এর জিএম কেফায়েত উল্লাহর নিকট পুর্বের রিপোর্টে জানতে চাওয়া হলে তিনি না জানার ভান করেন।তিনি জানবেন ই বা কি করে ঘটনার এক মাস পার হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ভয়ে বিদুৎ লাইন সরিয়ে ফেলেছেন। অথচ এ লাইন সরাতেও পল্লী বিদুৎ মোটা অংকের টাকা দাবী করে বলে অভিযোগে প্রমানিত হয়েছে।
প্রশ্ন করা হয়েছিল ২৫ বছর ধরে বসবাসরত কারো বসত ঘরের টিনের চালের ২ ফুট উপর দিয়ে আপনি বিদুৎ লাইন টানতে পারেন না। এটা অবৈধ এখন এর পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি পল্লী বিদুৎ এর সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বলে দিয়েছি সাহায্য করতে।এমন দায়সারা দায়িত্বহীন,কান্ডজ্ঞানহীন, বিবেকবোধহীন কথা বলে
জিএম কেফায়েত উল্লাহ তাহার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
জিএম কেফায়েত উল্লাহর কাছে কি শিশু লিয়ার আজীবন পঙ্গুত্ব ও ভবিষ্যতের কোন মুল্য নেই?ভোলা পল্লী বিদুৎ এর স্বেচ্ছাচারিতা,
খামখেয়ালীপনা, ও জোর পুর্বক বসত ঘরের উপর দিয়ে নিয়ম বহির্ভুত বিদুৎ লাইনের নিস্ঠুর, নির্মমতার শিকার দরিদ্র লিয়া কি পাবেনা সুচিকিৎসা,পাবেনা ন্যায় বিচার,পাবেনা কোন ক্ষতিপুরন, এ প্রশ্ন আজ ঐ এলাকার মানুষ সহ ভোলার সচেতন সুধী মহল ও বিবেকবান মানবিক মুল্যবোধসম্পন্ন মানুষের কাছে? লিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত সংশ্লিস্ট ডাক্তারের সাথে আলাপ কালে জানা যায় লিয়া সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।সুস্থ হওয়ার পর সাভারে অবস্থিত নিটোরে কৃত্তিম হাত লাগাতে ও প্রচুর টাকার প্রয়োজন।প্রতিদিন অন্তত চার হাজার টাকার ঔষধ বাহির হতে কিনে আনতে হয়।
শিশু লিয়ার বাবা ফিরোজ মিয়ার
আত্নীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, সমাজ হিতৈষী মহানুভব মানুষদের
সার্বিক সহযোগীতায় লিয়ার চিকিৎসা চলমান। তাই তিনি তাহার মেয়ের চিকিৎসার জন্য ভোলার সকল বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ সহ দেশের সকল হৃদয়বান মানুষের নিকট আর্থিক সহযোগীতা কামনা
করেছেন।লিয়ার মা,বাবার সাথে কথা বলতে চাইলে ও সাহায্য করতে চাইলে
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা।
মোঃ ফিরোজ মিয়া(লিয়ার বাবা) মোবাইল নং
(বিকাশ)-০১৭৯৪৯৬১৭৭৮
মাফিয়া বেগম( লিয়ার আম্মা)
০১৭৭০২৩৮৬৮০