সন্তানদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের অনেকেই ঝুঁকছেন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে। কিন্তু অভিযোগ আছে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানে...দেয়া হয় না বাঙালীর সংস্কৃতির কোনো ধারণা। পড়ানো হয় না রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল। ২০১৩ সালে এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন এক অভিভাবক।
চার বছর পর সেই রিটেরই রায় দিলেন হাইকোর্ট। যাতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাক্রমে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের রচনা। সেই সাথে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, শুদ্ধভাবে বাঙালী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চারও। যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। রিটকারীর আইনজীবী বলছেন, নজরুল জয়ন্তিতে এমন যুগান্তকারী রায় বিদ্রোহী কবির প্রতি উচ্চ আদালতের উপহার।
এতোদিন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছিলো না কোনো পরিচালনা পর্ষদ। ব্যক্তি মালিকানায় চলতো খেয়াল খুশি মতো। তবে এবার থাকছে না সেই সুযোগ। তিনমাসের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানেই গঠন করতে হবে গভর্নিং বডি। যা তদারকি করবে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
বেসরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগেও করা হতো না নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা। সেই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে একমাসের মধ্যে নীতিমালা করতে, শিক্ষামন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলা বাধ্যতামূলক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত
দেশের সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক। দুপুরে চার বছর আগের একটি রিট নিষ্পত্তিতে, এমন রায় দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর, পুনরায় ভর্তিতে সেশন ফির নামে অর্থ আদায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তিন মাসের মধ্যে সব স্কুলে গভর্নিং বডি গঠনের। এছাড়া, শিক্ষক নিয়োগসহ ২০টির বেশি সুপারিশ দিয়ে একটি নীতিমালা করতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।