নীলফামারীতে ভ্রাম্যমান বিদ্যুৎ চোরদের দৌরাত্ব--! মিটার ছাড়া বিদ্যুতের খুটি থেকে হুক করে দিব্যি চালাচ্ছেন ঝালাইয়ের ব্যবসা। এ যেন দেখার কেউ নেই!
শাহ মো:জিয়াউর রহমান, নীলফামারী Channel 4TV :
অনেকে ভ্রাম্যমান আদালতের কথা শুনছেন। আছে ভ্রাম্যান হোটেল রেস্তরা,চিকিৎসালয় সহ অনেক কিছু। কিন্তু ভ্রাম্যমান চুরি এটা আবার কেমন কথা। হ্যাঁ কালের বিবর্তনে যেমন অনেক কিছুর পরিবর্তন সাধিত হয়েছে চোরেরাও পিছিয়ে থাকবে কেন? তারাও তাদের সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়েছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় অনেক অসাধ্য এখন সাধন হচ্ছে। বিদ্যুৎ এ ক্ষেত্রে কাজ করছে চালিকা শক্তি হিসাবে । আর তাই এই চালিকা শক্তি নামক অদৃশ্য বস্তুটি কেনইবা চুরির আওতার বাইরে থাকবে? এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ডোমারের খোকন বাবু। তিনি বিদ্যুতের খুটিতে, হুক লাগিয়ে র্নিদ্বিধায় বিদ্যুৎ চুরি করে চালাচ্ছে ঝালাই বানিজ্য। তাও আবার কোন রাকঢাক ছাড়াই। বিদ্যুতের খুটির চেয়েও তার অবশ্য অদৃশ্য খূটির জোর অনেক শক্ত পক্ত। কারণ তার আপন ভ্রাতা ওই দপ্তরের একজন কর্মচারী। তার কথিত সেই ভ্রাতার জোরে দোকান ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় প্রকাশ্যে মিটার ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লাগিয়ে সে ঝালাইয়ের কাজ করে যাচ্ছেন অবলিলায়। এ যেন দেখার কেউ নেই! তার এমন অপকর্ম হর হামেসাই চোখে পড়ে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে।
উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের মৃত অনিল চন্দ্রের ছেলে খোকন। গত রবিবার এলাকার মৃত নজদ্দি মামুদের ছেলে রফিকুল ইসলাম তার ধান ভাঙ্গা মেশিন নষ্ট হয়ে যায় । সেটি মেরামতের জন্য মাহিগঞ্জ বাজারের খোকনের ঝালাইয়ের দোকারে নিতে চাইলে ঝালাইয়ের মিস্ত্রী খোকন সেখানেই মেশিনটি মেরামত করে দিবে মর্মে জানায়। খোকন মাহিগঞ্জ বাজারের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক ঝালাই মেশিন এনে একই এলাকার ভুট্টো ও নুরুর বাড়ীর সামনের বিদ্যুতের খুটিতে মিটার বিহীন সরাসরি সংযোগ লাগিয়ে আয়েশ করে ঝালাইয়ের কাজ সারেন। রফিকুল অনেক নিষেধ করলেও খোকন তা কর্ণপাত করেন নাই। কারণ তার কথিত ভাই মনমথো ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের একজন কর্মচারী । তার ভ্রাতার বিদ্যুৎ চুরিতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাব্যাক্তিদের তেমন কিছু না হলেও এসকল উদোর পিন্ডি যে সাধারণ জনগণ নামক বুদো মহাসয়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে তা জানতে কি কারো বাকী আছে এমন প্রশ্ন করেছে ওই পথে যাওয়া অনেক পথচারী।