শিক্ষকসংকটে ব্যাহত হচ্ছে বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম Channel 4TV : শিক্ষকস্বল্পতার কারণে বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে, তা হতাশাজনক।, বরগুনা সরকারি কলেজে বিভাগ রয়েছে ১১টি। এসব বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও ডিগ্রি (পাস কোর্স) পড়ানো হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত হাজার। এর বিপরীতে শিক্ষকের পদই রয়েছে মাত্র ৪৯টি। আর বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩২ জন।
একে কলেজে শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষক পদের সংখ্যা কম, তার ওপর আবার ১৭টি পদই শূন্য। যেখানে পদের সংখ্যা বাড়ানো দরকার, সেখানে যদি শিক্ষকের এতগুলো পদ শূন্যই থাকে, তাহলে কলেজটিতে কী পড়ালেখা হচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। শিক্ষকস্বল্পতার কারণে কলেজে প্রতিদিন ক্লাস হয় না, সপ্তাহে তিন-চার দিন ক্লাস হয়। আবার ক্লাসে সব বিষয় পড়ানো হয় না। ফলে ভালো প্রস্তুতি ছাড়াই যেহেতু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হয়, তাই পরীক্ষার ফলাফলে এর প্রভাব পড়ে। উপকূলের জেলা এবং যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বরগুনায় অনেক শিক্ষক আসতে চান না। যাঁরা বাধ্য হয়ে আসেন, তাঁরাও তদবির করে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান।
অনেক শূন্য পদ নিয়ে একটি কলেজ চলার অর্থ সেখানকার শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তবে শুধু বরগুনা সরকারি কলেজ নয়, শিক্ষকসংকট রয়েছে দেশের অধিকাংশ সরকারি কলেজেই। দেশে শিক্ষার মানের সার্বিক অবনতির পেছনের অন্যতম কারণ হচ্ছে এই শিক্ষকসংকট। জানাগেছে, কলেজের অধ্যক্ষ প্রায় দুই বছর আগে শূন্যপদ পূরণ ও নতুন পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) কার্যালয়ে চাহিদাপত্র দেন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত নতুন কোনো শিক্ষক দেওয়া হয়নি। শিক্ষার প্রতি এ ধরনের অবহেলা নিয়ে জাতি হিসেবে আমরা কত দূর এগোব? বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষকসংকট দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
একে কলেজে শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষক পদের সংখ্যা কম, তার ওপর আবার ১৭টি পদই শূন্য। যেখানে পদের সংখ্যা বাড়ানো দরকার, সেখানে যদি শিক্ষকের এতগুলো পদ শূন্যই থাকে, তাহলে কলেজটিতে কী পড়ালেখা হচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। শিক্ষকস্বল্পতার কারণে কলেজে প্রতিদিন ক্লাস হয় না, সপ্তাহে তিন-চার দিন ক্লাস হয়। আবার ক্লাসে সব বিষয় পড়ানো হয় না। ফলে ভালো প্রস্তুতি ছাড়াই যেহেতু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হয়, তাই পরীক্ষার ফলাফলে এর প্রভাব পড়ে। উপকূলের জেলা এবং যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বরগুনায় অনেক শিক্ষক আসতে চান না। যাঁরা বাধ্য হয়ে আসেন, তাঁরাও তদবির করে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান।
অনেক শূন্য পদ নিয়ে একটি কলেজ চলার অর্থ সেখানকার শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তবে শুধু বরগুনা সরকারি কলেজ নয়, শিক্ষকসংকট রয়েছে দেশের অধিকাংশ সরকারি কলেজেই। দেশে শিক্ষার মানের সার্বিক অবনতির পেছনের অন্যতম কারণ হচ্ছে এই শিক্ষকসংকট। জানাগেছে, কলেজের অধ্যক্ষ প্রায় দুই বছর আগে শূন্যপদ পূরণ ও নতুন পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) কার্যালয়ে চাহিদাপত্র দেন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত নতুন কোনো শিক্ষক দেওয়া হয়নি। শিক্ষার প্রতি এ ধরনের অবহেলা নিয়ে জাতি হিসেবে আমরা কত দূর এগোব? বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষকসংকট দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।