গাংনীর খড়মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবা আর ছেলে প্রধান শিক্ষক
মেহেরপুরের গাংনীর খড়মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ বছরে লাগানো হয়নি প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গ বন্ধুর ছবি
এম এ লিংকন মেহেরপুর Channel 4TV : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার খড়মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গ বন্ধুর ছবি না লাগানো, সিলিপের টাকা তসরুপ ও স্বজন প্রিতীর মাধ্যমে নিজের বাবাকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের খডমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবির মুখে ২০১৩ সালের দিকে প্রধানমন্ত্রীশে হাসিনা বেসরকারী স্কুল গুলোকে সরকারী করে দেন। ২০১৩ সালের পর থেকে এপর্যন্ত খডমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগানো হয়নি বিদ্যালয়টিতে। এবং এরআগে গাংনী উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক বার বার তাকে অবহিত করার পরেও তিনি ছবি লাগায়নি। এদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজের বাবাকে বানিয়ে সিলিপের টাকা তসরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত বছরে বিদ্যালয় মেরামতের নাম করে নাম মাত্র কাজ করে বাকি টাকা পকেটস্থ করেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সরকারী চাকুরী থাকাকালিন সময়ে ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির দির্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। গত বছরে নতুন কমিটি হলে তিনি বাদ পড়েন। গ্রামের মন্ডল সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে ৮-৯ বছর ধরে গোপনে কমিটি করে থাকে। সে প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা ও কৌশুলে বাবাকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করে রেখে নিজের মত স্কুল চালায়। স্কুলে কি হয় না হয় কিছুই জানায় কাউকে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায়কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না। কয়েক বছর ধরে শুনি সরকার সিলিপের টাকাদেই। কিন্তু স্কুলের কোন কাজ চোখে পরেনি। এ ব্যাপারে প্রধান সাহিদুল ইসলাম প্রথমে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গ বন্ধুর ছবি লাগানো বাধ্য বাধকতা নেই।পরে আবার টেবিলের কাচের নিচে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও দেওয়ালের এক পাশে বঙ্গ বন্ধুর পোষ্টার লাগানো দেখিয়ে বলেন ওই যে ছবি। তাছাড়াও সিলিপের টাকার বিষয়ে বলেন, কিছু কিছু কাজ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যকোন কাজদেখাতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া বিএনপির বর্তমানেকোন পদনেই বলে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার এটিও সামসুজোহা প্রথমে বলেন, বিদ্যালয়ে ছবি লাগানো আছে। পরে প্রধান শিক্ষকের সাথে বলে তিনি বলেন নেই তবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে লাগানো হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফারুক উদ্দীন জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গ বন্ধু ছবি লাগানো বাধ্যতা মূলক তাই ছবি লাগাতে হবে। আমি নতুন এসেছি তাই অনেক বিষয়ে অবগত নয়। তবে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।
জেলা শিক্ষা অফিসার জেছের আলী জানান, ছবি না লাগিয়ে থাকলে আজই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিচ্ছে। তদন্তে ছবি না লাগানো, সিলিপের টাকা তসরুপ ও সরকারী চাকুরী করে দলীয়কোন পদে ছিলেন এমন বা অনিয়মের কোন প্রকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বলেন, তিনি ছবি না লাগিয়ে থাকলে শিক্ষা অফিসের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।