বাজেট ঘোষণায় বিরল অভিজ্ঞতার মুখে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
টানা ৯ এবং ব্যক্তিগত ১১তম বাজেট ঘোষণা করে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন নতুন উচ্চতায়। সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের স্বপ্নচারী অর্থমন্ত্রী তাই বরাবরের মত বাজেট দিয়ে প্রতিবছরই রেকর্ড গড়ছেন। যদিও ঘোষিত বাজেটের বিশালত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায় না বছর শেষে বাস্তবায়ন অদক্ষতায় কাটাছেড়ার পর। যেমনটি হতে যাচ্ছে চলতি বাজেটে। না কাঙ্খিত আয় হলো, না ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারলেন। রাজস্ব আহরণ করতে চেয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ হারে, অথচ করতে পারছেন ২০ শতাংশ। ভেবেছিলেন, বছর শেষে এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে খরচ করতে পারবেন। অথচ দশ মাসে পারলেন ৬৫ হাজার কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে মাত্র ৫৫ শতাংশ। তাহলে বাকি দুই মাসে কীভাবে খরচ করবেন বাকিটা? এ প্রশ্নের উত্তর যাই হোক, অর্থমন্ত্রী আবারও নিজের শ্রেষ্ঠ বাজেট দেয়ার দ্বারপ্রান্তে।
আসছে বাজেটেও তাই ৪ লাখ কোটি টাকার বড় অংকের ধারাবাহিকতা। রাজস্ব লক্ষ্য ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। বাড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অথচ কমবে মূল্যস্ফীতি। এটা কি নির্বাচন ঘিরে সহজ জনপ্রিয়তার কৌশল?
নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে যখন ব্যাপক অসন্তোষ; সমালোচন ও বিতর্ক যখন চরমে, তখনও অর্থমন্ত্রী ১৫ শতাংশের ভ্যাট হার কার্যকরে অটল। রাজস্বের জন্য ইতিবাচক হলেও এ সাহসী পদক্ষেপ ঘিরেও আছে চ্যালেঞ্জ।
দেশ এগুচ্ছে। বড় হচ্ছে অর্থনীতি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে বাড়ছে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান। তাই বাড়ছে বড় বাজেটের চাহিদা। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুধু বড় বাজেট নয়, দক্ষতা বাড়াতে হবে আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রেও। তাহলেই সফল হবে বড় বাজেট ঘোষণার লক্ষ্য।
রেকর্ড ৪ লাখ কোটি টাকার বিলাসী বাজেট কাল
আয় নেই; অথচ রেকর্ড ৪ লাখ কোটি টাকার বড় বাজেট। নির্বাচন ঘিরে জনতুষ্টি অর্জনে একদিকে খরচের লম্বা তালিকা; অন্যদিকে আয় বাড়াতে ব্যবসায়ি মহলের চরম অসন্তোষের মধ্যেও নতুন ভ্যাট আইন চালুর সাহসী পদক্ষেপ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চান, উচ্চ প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। অথচ কমাতে চান মূল্যস্ফীতি। এমন বিপরীতমুখি গোলকধাঁধার মধ্যেই আগামিকাল তিনি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন নতুন বাজেট।