পাকিজা ডাইং এন্ড পিন্টিং কারখানায় আগুন; তদন্ত কমিটি গঠন
আব্দুস সাত্তার, সাভার ও আশুলিয়া Channel 4TV :
সাভারে পাকিজা ডাইং এন্ড প্রিন্টিং নামের শাড়ি তৈরীর কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০ টি ইউনিট প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় হুড়াহুড়ি করে বের হতে গিয়ে ২০ শ্রমিক আহত হয়। তার মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সাভারের মজিদপুরে পাকিজার কারখানার ২ তলা ফেব্রিক্স ও ৩ তলার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
শ্রমিক ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, পকিজার কারখানার কেমিক্যাল গুদাম থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা ফেবিক্সের রাখা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে অনেকে আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে পাশের রোজ ক্লিনিক ও এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজনের আগুনের তাপে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোসকা পড়ে যায়। গুরুত্বর আহতরা হলেন- তারা হলেন, শহিদুল, মিরাজুল ও সাইফুল । তবে সাইফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল ( প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা উন্নয়ন) মোহাম্মদ মোশারফ হুসেন, পিএসসি জানান, খবর পেয়ে প্রথমে সাভার ও আশুলিয়ার চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রেণে কাজ শুরু করে। পরবর্তী আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে ধামরাই, মোহাম্মদুপর ও মিরপুর থেকে আরও ৬ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। প্রায় তিন ঘন্টা পর পকিজা কারখানার ফেব্রিক্স রাখার ভবনটি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কেমিক্যাল গুদামটি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও ৩০ মিনিট সময় বেশি লাগে। অর্থাৎ রাত ১২ টায় পকিজা কারখানা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এসময় তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। তবে কেউ নিহতের হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কোন কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ চন্দ্রকে প্রধান করে সহাকারী উপপরিচালক মামুন মাহাতাব ও সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মোহাম্মদ লিটন আহমেদ কর্মকর্তাকে নিয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।