মা,বাবার আদরের তানসু হত্যার প্রধান আসামী লালমোহনের কে এই "রুবেল"
এম.ইউ.মাহিম চৌধুরী ভোলা জেলা প্রতিনিধি Channel 4TV :
দ্বীপের রাণী ভোলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন ও ফুলবাগিচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাজিয়া বেগমের অতি আদরের কন্যা মেহেরুন নেসা (তিথি) ওরফে তানসু কে গত ০২/০৫/১৭ ইং তারিখে তাহার স্বামী উচ্চাভিলাসী মাদকসেবী,যৌতুকলোভী মেহেদী হাছান (রুবেল) কর্তৃক "এফ জেড" মটরসাইকেলের দাবী নিয়ে তানসুর সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়ে মা,বাবার আদরের তানসু কে নির্মম,নিস্ঠুর
নির্যাতনে হত্যা করে।
নিয়তির নির্মম পরিহাস, এ নরপশু শুধু তানসুকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছে তানসুর অনাগত ৪ মাসের শিশু সন্তান কে ও।যে শিশুটি অপেক্ষায় ছিল সুন্দর পৃথিবীকে স্বাগত জানিয়ে প্রিয় মা,বাবার কোল জুড়ে সুন্দর সংসার আলোকিত করার।তানসুর মা,বাবা ও অপেক্ষায় ছিল আদরের তানসুর ঘর আলোকিত করতে আসা আগত নতুন অতিথিকে সাদরে বরণ করার।কিন্তু না, সেই স্বপ্ন,আশা আকাংখা পুরন হতে দেয়নি তানসুর স্বামী রুবেল। যৌতুকলোভী এ নরপশুর নির্মম, নিস্ঠুর,বর্বরতায় একসাথে অকালে নিভে গেল পৃথিবীর সুখ,আশা,আকাঙ্খা অপুর্নতায় রেখে দুটি সম্ভাবনাময় আলোকিত প্রদীপ।
পবিত্র মাহে রমজানের এই পবিত্র মাসে তানসুর স্বামী কর্তৃক এ ঘৃন্য বর্বর,নিস্ঠুর নির্যাতনে তানসুকে হত্যায় লালমোহন উপজেলাসহ, জেলা ব্যাপী নরপশু রুবেল ও তার পরিবারকে কে দলমত রাজনীতির উদ্ধে ধর্ম,বর্ন,নির্বিশেষে সকলে ধিক্কার,ঘৃনা, জানানো অব্যাহত রয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক,দৈনিক পত্রিকা,অনলাইন নিউজ, ও দেশের জাতীয় পত্রিকা/অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে এ হত্যার বিষয়ে নিউজ গুলো দেশ বিদেশে মানুষের দৃস্টি আকর্ষন করে।হত্যার বিস্তারিত বিবরন সকলে জ্ঞাত ছাড়াও উঠে আসে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা/ অনলাইন পোর্টালগুলোতে রুবেলের ইয়াবা আসক্তি, ও মাদক সেবনের ভয়ংকর অনেক তথ্য।পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে নিজে পালিয়ে বাঁচলেও নিজের সহযোগীরা গ্রেফতার হয়েছে বলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এসেছে। ব্যবসায়ী আজগর মিয়ার সুপুত্র মেহেদী হাছান রুবেল এর স্থায়ী ঠিকানা লালমোহন উপজেলার ২নং কালমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লেজছকিনার মিয়া বাড়ী বলে জানা গেছে।কিন্তু পিতা আজগর মিয়া লালমোহন বাজারে ব্যবসা করার সুবাধে লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বাজারে দীর্ঘ বছর এ পরিবার বসবাস করে আসছেন।
জানা যায় ব্যবসায়ী আজগর মিয়ার ৭ ছেলের মধ্য রুবেলই সবার ছোট।শিক্ষাগত যোগ্যতা সরকারী শাহবাজপুর কলেজে ডিগ্রীতে অধ্যয়নরত বলে তানসুর পরিবার হতে জানা গেছে।লালমোহনে ছাত্রলীগের কমিটিতে কোন পদ পদবীতে না থাকলেও জেলা ছাত্রলীগের গত সম্মেলনে
সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত
হয়েছিলেন মেহেদী হাচান(রুবেল)।
পিতা আজগর মিয়া দীর্ঘকাল আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ও লালমোহন বাজারের বিশিস্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি ও সুনাম থাকলেও ছেলে রুবেলের কুকীর্তি বিভিন্ন সময়ে আজগর মিয়ার সুনাম,ভাবমুর্তি, মর্যাদা ক্ষুন্ন করে।পিতা আজগর মিয়ার পারিবারিক স্বচ্ছলতা, আর ছোট ছেলে হওয়ায় ছোটবেলা হতেই একটু বেপরোয়া জীবন যাপন করত রুবেল।বেপরোয়া জীবনের বলি হলেন শেষ পর্য়ন্ত প্রেমের ফাদে ফুসলিয়ে গোপনে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করা মা,বাবার আদরের তানসু। প্রিয় কন্যার এভাবে নির্মম,মৃত্যু কোন ভাবেই কাম্য ছিলনা এ পরিবারের। পৃথিবীর সুখ,আশা,আকাঙ্খা অপুর্নতা রেখে এভাবে অকালে চলে যাওয়া সত্যই অনেক নির্মম।
নির্মম এ মৃত্যুর ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রুত রুবেল সহ সকল আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাড় করাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী। নির্মম, এ নিস্ঠুর মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাসির দন্ড হবে এটাই একমাত্র দাবী তানসুর পরিবারের।