সুন্দরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আসামীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এসআই সহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিথি: মো: মোছাব্বের হোসেন শান্ত Channel 4TV :
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে অপহরণ মামলার আসামী রিপন চন্দ্র দাসের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজু মিয়া সহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে তাদেরকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্ল্যাহ আল ফারুককে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য দিতে ৪ পুলিশ সদস্য সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রাজু মিয়া, কনষ্টেবল সাহানুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, নারী কনষ্টেবল নার্গিস বেগম উল্লেখ্য ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে হাতিয়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের পুত্র রিপন চন্দ্র দাস গত ২৯ মে সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় প্রতিবেশি সুরেশ চন্দ্র দাসের কন্যা চম্পা রাণী দাস কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় চম্পার পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ১ লা জুন বগুড়া কাহালু উপজেলার কাইট গ্রামের একটি মন্দির থেকে চম্পাকে উদ্ধার করে এবং রিপন চন্দ্রকে গ্রেফতার করে এবং মাইক্রোবাস যোগে সুন্দরগঞ্জ আসার পথে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার রাস্তার পার্শ্বে প্রসাবের কথা বলে নেমে সড়ক ধরে দৌড়ে পালানোর সময় অপর দিক থেকে আসা ট্রাক চাপায় রিপনের মৃত্যু হয় বলে প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এবং উত্তেজিত জনতা চম্পা রাণীর পরিবারের বাড়ী ঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রিপনের পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত ভাবে রিপন কে হত্যা করে ট্রাক চাপার কথা বলছে এবং আসল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম গোলাম কিবরিয়ার উপস্থিতিতে পুত্তলিকা দাহ না করে মাটি চাপা দিয়ে পুতে রাখা হয়েছে। পরিবার ও এলাকায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঐ গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে সুন্দরগঞ্জ থানা ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানিয়েছে।