ইটভাটার মাটি রাস্তায়। ঘটছে দূর্ঘটনা। গাংনীতে স্কুলের পার্শে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা। প্রশাসন নিরুপায় না কি নির্বিকার ?
এম এ লিংকন,মেহেরপুর Channel 4TV : মেহেরপুরের গাংনীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটা নির্মানের ফলে একদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা। অবৈধ ইটাভাটা গুলো রাস্তা ও স্কুলের পার্শে হওয়ায় বিপাকে পড়েছে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন পথচারী ও ছাত্রছাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান,গাংনী উপজেলার গাড়াডোব,তেরাইল,বামুন্দী ও শুকুরকারকান্দি সহ বিভিন্ন স্থনে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা। এসব ইটভাটায় ট্রলিযোগে মাটি বহন করার কারনে রাস্তায় মাটি পড়ে দূর্ঘটনা ঘটছে। দূর্ঘটনায় অনেকেই পঙ্গত্ব বরণ করেছে।
গাড়াডোব গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে ইটভাটা নির্মান কাজ শুরু করেছে বাহাগুন্দা গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে নুর ইসলাম। অন্য স্থান থেকে মাটি এনে এ অবৈধ ইটভাটায় রাখার কারনে রাস্তায় চলাচলের অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে। মাটি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ার কারনে গতকাল শুক্রবার গাড়াডোবে বেশ কয়েক টি দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় একটি ট্রাক উল্টে যায়। এছাড়া নছিমন,মটরসাইকেল দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।
গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,বিদ্যালয়ের পার্শে ইটভাটা স্থাপন হওয়ায় কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়বে। তেমনী পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হবে। যে কোন মূল্যে অবৈধ এ ইটভাটা বন্ধ না হলে বিদ্যালয় টি বন্ধ করা ছাড়া কোন পথ থাকবেনা।
গাড়াডোব গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য উসমান গনী জানান,অবৈধ ইটভাট বন্ধ না হলে তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যর কথা ভেবে ঐ স্কুলে পড়ালেখা করানো সম্ভব হবেনা। বাধ্য হয়ে অন্য কোন স্কুলে পড়াশুনার ব্যবস্থা করতে হবে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান,ইটভাটার বায়ু দুষনের কারনে কোমল মতি শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধরাও বিপাকে পড়বে।
স্থানীয়রা আরো জানান, কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকার কারনে ফসলী জমিতে অবৈধ ভাবে ইটভাটা গড়ে উঠছে। অবৈধ ভাবে ইটভাটা নির্মানের ফলে ফসল ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া আবাদি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করার কারনে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানান,অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসক,সিভিল সার্জন,গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দেয়া হলেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নী। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ উজ জামান জানান,অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।