অস্থিরতা কমছেই না চালের বাজারের
বাজারে কমছে না মোটা কিংবা চিকন চালের দাম। এরই মধ্যে চালের দাম বৃদ্ধিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিশ্ববাজার থেকে আমদানি করলে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ে ৩৪ থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ টাকা। যেখানে বাংলাদেশে ১ কেজি মোটা চাল কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হচ্ছে ৪৮ টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, মজুত ব্যাবস্থাপনায় ঘাটতি এবং সরকারের সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেই চালের বাজারে এমন ভোগান্তি।
সকাল সকাল বাংলামোটর থেকে বাজার করতে এসেছেন গৃহিণী জলি আক্তার। কারওয়ান বাজারের এই পাইকারি চালের আড়ত থেকে পুরো মাসের চাল কেনেন একসাথে। সবশেষ এই দোকান থেকেই ১ বস্তা চাল কিনেছিলেন ২৩০০ টাকায় যা আজ কিনতে হলো ২৬০০ টাকায়। তাই সকালের ফুরফুরে হাওয়ায় বাজারে এলেও হিসাবের এই গড়মিল তার চোখেমুখে নামিয়েছে বিষন্নতা।
খরচ কমিয়ে এদিক সেদিক করে বেঁচে থাকার এই প্রচেষ্টা কেবল জলি আক্তারের নয়, এমন অবস্থার মুখোমুখি নিম্ন আয়ের সব ক্রেতাই।
সরকারি হিসাবেই চালের দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সরকারি বিপণণ সংস্থা টিসিবি ও কৃষি বিপণণ অধিদপ্তরের হিসাবে ১ কেজি মোটা চাল কিনতে এখন খরচ করতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। এক বছর আগেও যার দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৪ টাকা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে বেড়েছে ৪২ ভাগ। চালের দাম নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে দেখা যায়, গত বছর সরকারি ভাবে আমদানি করা হয় ১ হাজার ২৮ মেট্রিক টন চাল। এবছর যা একেবারেই শূন্য। বেসরকারিভাবেও যেটুকু আমদানি হয়েছে তাও আগের বছরের অর্ধেকেরও কম।
পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, মিলাররা চাল পাঠায় কম। নির্দিষ্ট কোন দর নেই। চাহিদার তুলনায় আসছে সামান্য।